পরিস্থিতির আরও অবনতি, সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র
১৪ নভেম্বর ২০২০ ২০:১১
আরও অবনতি হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার। মস্তিস্কের কাজ প্রায় বন্ধ। শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা প্রবলভাবে বেড়ে গেছে। কিডনির কার্যকারিতারও অবনতি হয়েছে তার। শনিবার (১৪ নভেম্বর) বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক অরিন্দম কর। বর্তমানে তাকে ডিফরেন্ট লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৪০ দিনের লড়াই কোনও কাজে আসল না বলে মন্তব্য করে বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অরিন্দম কর জানালেন, ‘চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না বর্ষীয়ান অভিনেতা। একমাত্র অলৌকিক কিছু ঘটলেই এই অবস্থা থেকে তার ফিরে আসা সম্ভব।’ ইতিমধ্যেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারকে পুরো বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তারাও বিষয়টি মেনে নিচ্ছেন। তবে এখনও হাল ছাড়ছেন না চিকিৎসকরা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেই জানালেন বেলভিউ হাসপাতালের এই চিকিৎসক।
বুধবার (১১ নভেম্বর) বর্ষীয়ান এই অভিনেতার ট্র্যাকিওস্টমি করা হয়েছিল। এবং তা সফলভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) আবার তার প্রথম পর্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস সম্পন্ন হয়। আশা করা হয়েছিল প্লাজমাফেরেসিসের পর তার আচ্ছন্নভাব ও অসংলগ্নতা অনেকটাই কেটে যাবে। কিন্তু শুক্রবার তার কিছুই হয়নি। বরঞ্ছ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ডা. অরিন্দম কর জানিয়েছিলেন, ‘এর আগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চেতনাস্তর ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে ছিল। তা পাঁচ পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। এই স্তর তিনে পৌঁছে গেলে ব্রেন ডেথ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। অভিনেতার কিডনির অবস্থাও খুবই খারাপ।’
কেন এমনটা হল, সেই সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে ডা. অরিন্দম করের কথায়, চিকিৎসক টিমের পক্ষ থেকে ‘বেস্ট পসিবল এফোর্ট’ দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে তার করোনা পরীক্ষা করানো হয়। ৬ অক্টোবর রিপোর্টে কোভিড পজিটিভ আসে কিংবদন্তি এই অভিনেতার। এরপরই কলকাতার বেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দেয়া হয় প্লাজমা থেরাপি। এরপর তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেইসঙ্গে চিকিৎসাতেও সাড়া দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু আচমকাই তার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ে।