১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ভারতী ও তার স্বামী
২২ নভেম্বর ২০২০ ১৭:২০
একটা মুত্যু যে বলিউডের পুরো বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিকে এভাবে নাড়িয়ে দেবে, তা বোধহয় কেউ কল্পনাও করতে পারেননি! ভারতের সিনেমার তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে গেছে বলিউডের বিশ্বাসের সব ভিত। সুশান্তের মৃত্যুর পর প্রথম আলোচিত বিষয় ছিলো রুপালিজগতের স্বজনপোষণ। সেখান থেকে বিষয়টি এসে ঠেকেছে মাদকে! আর মাদক প্রসঙ্গ আসতেই এবার একের পর এক জড়াচ্ছে বলিউডের তাবড় সব রথী-মহারথীদের নাম।
এবার সেই মাদক তালিকায় যুক্ত হল বলিউডের জনপ্রিয় কমেডিয়ান ভারতী সিং ও তার স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়ার। একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় এদের দুইজনকেই।
ভারতীয় গণমাধ্যম সুত্রের খবর, শনিবার (২১ নভেম্বর) প্রায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারতী সিং ও তার স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়াকে গ্রেপ্তার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। রবিবার (২২ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের কিলা কোর্টে পেশ করা হলে তাদের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, শনিবারই জানা যায়, ভারতী ও হর্ষের বাড়ি ও প্রযোজনা সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেন এনসিবির গোয়েন্দারা। তার পরপরই সমন পাঠানো হয় দু’জনকে। এনসিবি কার্যালয়ে পৌঁছতেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। আধিকারিকদের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করেন ভারতী ও হর্ষ। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় ভারতীকে। আরও কিছু প্রশ্ন-উত্তরের পর ‘হাতকড়া’ পড়ে হর্ষের হাতেও।
এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে জানান, ভারতী ও হর্ষ শুধু মাদক সেবন করেন, পাচারের সঙ্গে যুক্ত নন। তাদেরকে কিলা কোর্টে পেশ করা হয় রবিবার দুপুরে। সেখানেই বিচারপতি ভারতী ও হর্ষকে বিচার বিভাগীয় পাঠায়। তবে ইতিমধ্যেই জামিনের আবেদন জানিয়েছেন দুই সেলিব্রিটি। সেই শুনানি হবে সোমবার (২৩ নভেম্বর)।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এরইমধ্যে এই মাদক সংযোগে নাম এসেছে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের কন্যা অভিনেত্রী সারা আলী খান, অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিংহের। এরপর প্রকাশ পেল বলিউডের আরেক অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরের নাম। এমন কি সুশান্তের মৃত্যু মামলার তদন্তভার ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)’র কাছে যাওয়ার পর তদন্তে উঠে এসেছে বলিউডের এ সময়কার সবচেয়ে আলোচিত অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের নামও। এরপরই দীপিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনসিবি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দীপিকার ম্যানেজার কারিশ্মা প্রকাশকেও। শোনা গিয়েছিল, দীপিকা এবং তার ম্যানেজারকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন এনসিবির গোয়ান্দারা।