হিমেল বরকত স্মরণে প্রপানের শ্রদ্ধায়োজন
২৯ নভেম্বর ২০২০ ১৪:৫৮
‘অতল দিঘির মতো শুয়ে আছো একা…’
নিজের কবিতার পংক্তির মতোই মাত্র ৪২ বছর বয়সে চিরঘুমে শুয়ে পড়লেন কবি ও অধ্যাপক ড. হিমেল বরকত। সোমবার (৩০ নভেম্বর) রাত ঠিক সাড়ে ৯টায় সদ্য প্রয়াত হিমেল বরকত স্মরণে ‘প্রপান’ নামের সাংস্কৃতিক পাঠশালাটি নিবেদন করছে তাদের শ্রদ্ধায়োজন ‘ফুটে ওঠো নিদ্রিত কুসুম’। এই শ্রদ্ধায়োজনে খুব কাছের কিছু মানুষের স্মৃতিকথনে উঠে আসবে কবি ও অধ্যাপক ড. হিমেল বরকতের সমৃদ্ধ জীবনের নানান অজানা অধ্যায়।
লেখক ও আবৃত্তিশিল্পী সূনৃত সুজনের সঞ্চালনায় এই স্মরণায়োজনে স্মৃতিকথক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালি এবং সুমন সাজ্জাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর এবং দৈনিক প্রথম আলোর সাহিত্য ইনচার্জ আলতাফ শাহনেওয়াজ।
কবি ও অধ্যাপক হিমেল বরকত ১৯৭৭ সালের ২৭ জুলাই বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মিঠেখালি গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ডা. শেখ ওয়ালিউল্লাহ পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক। মা সিরিয়া বেগম ছিলেন একজন গৃহিণী। দশ ভাই-বোনের মধ্যে ড. হিমেল বরকত সবার ছোট। সবার বড় ছিলেন প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। হিমেল বরকত ২০০৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারই সহপাঠী খাদিজা পারভীন পপির সঙ্গে। তাদের একমাত্র সন্তানের নাম অতন্দ্রিলা।
ভাই রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতো কবি ও শিক্ষক হিমেল বরকতও খুব অল্প বয়সেই আকাশ হয়ে গেলেন। গত ২১ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নেয়ার সময় হার্ট অ্যাটাক হয় হিমেল বরকতের। পরে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে। সেখানে আরো দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয় তার। পরদিন ২২ নভেম্বর ভোর ৪টায় সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
কবি ও অধ্যাপক ড. হিমেল বরকত স্মরণে প্রপানের শ্রদ্ধায়োজনটি সরাসরি দেখতে হলে চোখ রাখতে হবে – https://www.facebook.com/propaanbd অথবা https://www.youtube.com/channel/UCCtTrWQ7VVvwLh5a7sukhFw এই ঠিকানায়।
অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালি অধ্যাপক তারিক মনজুর অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ আলতাফ শাহনেওয়াজ প্রপান ফুটে ওঠো নিদ্রিত কুসুম সূনৃত সুজন হিমেল বরকত