মঞ্চে প্রাচ্যনাট-এর ‘আন্তেগনি’
১০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:০২
বাংলাদেশের থিয়েটারের বিস্তারে এবং দক্ষ থিয়েটারকর্মী তৈরীতে সুদীর্ঘ ১৯ বছর ধরে কাজ করে চলেছে প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাকটিং অ্যান্ড ডিজাইন। এই স্কুলের ৬ মাসের পাঠ্যসূচিতে একজন প্রশিক্ষনার্থী থিয়েটারের সকল আনুসাঙ্গিক বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা পায়। এরই মধ্যে এই স্কুলের ৩৭টি ব্যাচ সফলভাবে তাদের কোর্স সম্পন্ন করেছেন। পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে ৩৭তম ব্যাচেরও।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরীক্ষণ থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাকটিং অ্যান্ড ডিজাইন-এর ৩৮তম ব্যাচের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান। ৩৮তম ব্যাচ তাদের সমাপনী প্রযোজনা হিসেবে সফোক্লিসে’র ‘আন্তেগনি’ উপস্থাপন করবে। নাটকটি রূপান্তর এবং নির্দেশনা দিয়েছেন নীল কামরুল। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কামাল উদ্দিন কবির, নাট্য নির্দেশক ও সহকারী অধ্যাপক, নাট্যকলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং নাট্যজন আমিনুর রহমান মুকুল।
এই নাটকের মূল চরিত্র- ‘আন্তেগনি’, যিনি ইদিপাসের কন্যা। রাজশক্তির অন্যায় আদেশের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ানো একজন ‘অরাজনৈতিক’ শক্তির নাম। আন্তেগনি, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে সত্যাগ্রহের পথ দেখানো একজন মানবী, একজন নারী। আন্তেগনি’র ভাই পলিনিসেসের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের দায়ে, পলিনিসেসের মৃত্যুর পরে তার শেষকৃত্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্বেচ্ছাচারী রাজা ক্রেয়ন। পলিনিসেসের শবদেহ শেয়াল-শকুনের খাদ্য হোক, এই শাস্তিধার্য করে রাজা। ভাইয়ের শবদেহের প্রতি এই অসম্মানকে এক প্রচণ্ড অন্যায় বলে মনে হয় আন্তেগনি’র। রাজ আদেশ অমান্য করে পলিনিসেসের শবদেহকে সসম্মানে সমাধিস্থ করে সে। এই সংবাদ রাজার কানে পৌঁছলে, আন্তেগনিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে রাজা ক্রেয়ন। ক্ষমাপ্রার্থনা করলে হয়তো পেয়ে যেত প্রাণ-ভিক্ষা; কিন্তু আন্তেগনি তার আদর্শে অটল। রাজা তাকে বন্দী রাখেন শহর থেকে দূরে এক নির্জন গুহায়। রাজ-পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপদেশে শেষ পর্যন্ত মত পরিবর্তন করে রাজা ক্রেয়ন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে কি?
নীল কামরুল’র রূপান্তর এবং নির্দেশনায় এই নাটকে অভিনয় করেছেন- শেগুফ্তা আহমেদ, নাজিফা আনজুম তুষি, মালিহা তানজিম পূর্ণি, সুপ্তি দাস চৈতি, সালমান আরাফাত, শাহানাজ পারভীন জোনাকি, লিহাজুল আহ্সান, মোঃ তুহিন, আলভী নোমান, সাদমান অলীভ, তাসফিয়া ফাইরোজ আনান, তামজিদ হোসেন প্রমুখ। মঞ্চ ও আলোক ভাবনায় মো. শওকত হোসেন সজিব, কোরিওগ্রাফিতে স্নাতা শাহ্রিন, পোষাক ও পোস্টার জেসমিন জাহান ঝুমা, সংগীত প্রয়োগে প্রিয়ম মজুমদার, শাহীন সাইদুর, অদ্রিজা আমিন, আলভী নোমান, কবিতা পাঠ সানজিদা আনোয়ার প্রীতি, প্রযোজনা অধিকর্তা- তামজিদ হোসেন এবং সার্বিক তত্তাবধানে শতাব্দী ওয়াদুদ ও মনিরুল ইসলাম রুবেল।
প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাকটিং অ্যান্ড ডিজাইন প্রাচ্যনাট-এর ‘আন্তেগনি’ মঞ্চনাটক