বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন জনপ্রিয় অভিনেতা আব্দুল কাদের। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি। তার আগে রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে আবদুল কাদেরকে শ্রদ্ধা জানানো যাবে শিল্পকলা একাডেমিতে।
গণমাধ্যমে জাহিদা ইসলাম জেমি জানালেন, ‘দুপুরের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে আবদুল কাদেরের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মিরপুর ডিওএইচএসে। সেখানেই পরিবার নিয়ে বাস করতেন তিনি। ডিওএইচএস জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে তার প্রথম জানাজা। তবে আরো কোনো জানাজা হবে কি না সেটি এখনো বলতে পারছি না। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে বাবার মরদহে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। যদি সময় ও সুযোগ হয় তবে বাবার কর্মস্থল হিসেবে সেসব প্রতিষ্ঠানে তার মরদেহ নেয়া হতেও পারে।’
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভারত থেকে দেশে ফিরেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আব্দুল কাদের। রবিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে দেশে ফেরার পর তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা চলছিল আব্দুল কাদেরের। সেখানে তার কেমোথেরাপি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রক্তের হিমোগ্লোবিন ক্রমশ কমতে থাকায় কেমোথেরাপি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান চিকিৎসকরা। পরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথা কেউ নেই’ ধারাবাহিকে বদি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিত ও জনপ্রিয়তা দুইই পেয়ে যান আব্দুল কাদের। ‘নক্ষত্রের পতন’ নাটকের দুইভাই চরিত্র নিয়ে যায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এরপর অসংখ্য জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন চিত্র ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই গুণী শিল্পী।
আব্দুল কাদের থিয়েটারেও ছিলেন সমান জনপ্রিয়। নাটকের দল থিয়েটারের সদস্য হিসেবে দলটির ৩০টি প্রযোজনায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘সেনাপতি’, ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘এখনো ক্রীতদাস’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’, ‘স্পর্ধা’ ও ‘দুইবোন’ নাটকে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এই অভিনেতা।