চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের দাবির মুখে শিল্পগুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৬-১৯৭৭ অর্থবছর থেকে অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা প্রণয়ন করেন। শুরুর পর্যায়ে নির্মিত হয়েছিল ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ বা ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’র মতো কালজয়ী চলচ্চিত্র।
অনুদানে এই শিল্পগুণধর্মী চলচ্চিত্রের ধারা বহমান থাকেনি। বিগত বছরগুলোতে ব্যবস্থাটি ক্রমান্বয়ে বিতর্কিত হয়েছে এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অনুদানপ্রাপ্ত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের মান ও গুণ উভয়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। একাধিক সেমিনার, আলোচনা সভার পর এবার একই বিষয়ে অনুষ্ঠিত হলো মানববন্ধন।
সেখানে উল্লেখিত দাবির মধ্যে রয়েছে— অনুদানের স্বচ্ছ ও জবাবদিহি, চলচ্চিত্র অনুদান কেবলমাত্র শিল্পগুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রের জন্য সংরক্ষিত থাকুক, তরুণ চলচ্চিত্রকর্মীদের সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ করুক এবং অনুদান প্রাপ্তিতে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক তদবির বা অন্যান্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অবসান হোক।
এ সব দাবি সামনে রেখে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের নেতৃত্বে সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র পর্ষদের জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক বেলায়াত হোসেন মামুন। আরও বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র পর্ষদের ঢাকা বিভাগের আহ্বায়ক চলচ্চিত্র নির্মাতা নির্তেশ সি দত্ত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের ঢাকা বিভাগের সদস্যসচিব আহমেদ হিমু, ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সহ-সদস্য সচিব রুমকী রুসা এবং তানভীর আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা চলচ্চিত্রে রাষ্ট্রীয় অনুদানের অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অবসানে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।