Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হ্যাপি বার্থডে ‘হটেস্ট হ্যান্ডসাম’


১০ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:২২

হৃতিক রোশন- যাকে বলা হয় বলিউডের অন্যতম হটেস্ট হ্যান্ডসাম। বলিউডের ‘গ্রীক দেবতা’ খ্যাত এই অভিনেতার আজ ৪৭তম জন্মদিন। আজ (রোববার) সকালেই নিজের ৪৭তম জন্মদিনে নিজের পরবর্তী ছবির কথা ঘোষণা দিয়ে সিনেপ্রেমীদের সুখবর দিয়েছেন তিনি। সকাল থেকেই শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে গিয়েছে তার সোশ্যাল মিডিয়া। তার সৌন্দর্য থেকে অভিনয় আর ব়োম্যান্সে পাগল আট থেকে অষ্টাদশী।

১৯৭৪ সালের ১০ই জানুয়ারি মুম্বাই (তৎকালীন বোম্বে) শহরে বলিউডের এক প্রখ্যাত পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন হৃতিক। বাবা চলচ্চিত্র পরিচালক রাকেশ রোশন ও মা পিঙ্কি রোশন। তার পিতামহ ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক রোশনলাল নাগরথ ও মাতামহ পরিচালক জে. ওম প্রকাশ। তার চাচা রাজেশ রোশনও বলিউডের একজন প্রখ্যাত সুরকার।

অভিনয়জগতে আজকের জনপ্রিয় এ তারকা অভিনেতার যাত্রাটা শুরু হয়েছিল শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আপকে দিওয়ানে’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা গিয়েছিল হৃতিককে। ছবিটির প্রযোজক ছিলেন হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশন। ছবিটিতে রহিম চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন রাকেশ। ছবিটির একটি গানের দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল পাঁচ বছর বয়সী হৃতিককে। দৃশ্যটিতে শিশু রহিম চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। পরের বছর মুক্তি পায় হৃতিকের দাদা ও চলচ্চিত্রনির্মাতা প্রযোজক জে ওম প্রকাশ পরিচালিত ছবি ‘আশা’। এই ছবির একটি গানের সঙ্গে নেচেছিলেন ছোট্ট হৃতিক। তাকে না জানিয়েই তার নাচের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল। এমনকি ‘আশা’ ছবির ক্রেডিট লাইনে হৃতিকের নাম পর্যন্ত যায়নি। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ভগবান দাদা’ ছবিতে রজনীকান্তের পালক ছেলে গোবিন্দ চরিত্রে অভিনয় করেন ১২ বছর বয়সী হৃতিক।

বিজ্ঞাপন

বাবা রাকেশ রোশনের পরিচালনায় ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে ২০০০ সালে বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় তারকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন হৃতিক। ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয় উপহার দিয়ে সেরা অভিনেতা এবং সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন হৃতিক। এ ছাড়া ২০০৩ সালে ‘লিমকা বুক অব রেকর্ড’-এ ঠাঁই পায় ‘কহোনা পেয়ার হ্যায়’ ছবির নাম। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুরস্কার ঝুলিতে ভরে রেকর্ড গড়েছিল হৃতিক অভিনীত ছবিটি। বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান আসর থেকে সব মিলিয়ে ১০২টি পুরস্কার পেয়েছিল ‘কহোনা পেয়ার হ্যায়’।

শৈশবে বোম্বে স্কটিশ স্কুলে পড়ালেখা করেছেন হৃতিক। পরবর্তী সময়ে সিডেনহাম কলেজে বিকমে ভর্তি হন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ এসেছিল হৃতিকের জীবনে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চলচ্চিত্র জগতে মনোযোগী হবেন বলে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন হৃতিক।

অভিনয়ের পাশাপাশি প্লেব্যাক গায়ক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন হৃতিক। ‘কাইটস’ এবং ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। নিয়মিত অভিনয়ের আগে চলচ্চিত্র জগতের খুঁটিনাটি অনেক কাজই শিখেছেন হৃতিক। ছবির সেট ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে ক্যামেরা চালানো, ছবির কাহিনি সাজানো, সম্পাদনা এবং নির্দেশনার কাজও শিখেছেন তিনি। ১৯৯২ সাল থেকে টানা ছয় বছর সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হৃতিক। ‘খেল’, ‘কয়লা’সহ একাধিক ছবিতে বাবা রাকেশ রোশনের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

‘হটেস্ট হ্যান্ডসাম’ জন্মদিন রাকেশ রোশন রাজেশ রোশন হৃতিক রোশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর