Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সৃজনশীল কারিগর চাষী নজরুল ইসলামের সেরা পাঁচ


১১ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:৫৫

প্রখ্যাত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম। বাংলাদেশের ‘এফডিসি ঘরানা’র সঙ্গে থেকেও সঙ্গে থেকেও তিনি নির্মাণ করে গেছেন একের পর সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্র, পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বিখ্যাত পাঁচটি ছবি নিয়ে সারাবাংলার বিশেষ আয়োজন।

ওরা ১১জন

১৯৭২ সাল। মাত্রই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ওই সময়েই তরুণ চাষী নজরুল ইসলাম নির্মাণ করলেন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র—‘ওরা ১১জন’। ‘ওরা ১১ জন’ এর নামকরণ করা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে খসরুসহ ১১ জন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। আরও ছিলেন ঢালিউডের কিংবদন্তি রাজ্জাক, শাবানারা। ছবিটিকে নানন্দিক ও বাস্তবিক করে তুলতে যা প্রয়োজন তার সবই করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম। মুক্তির আগে থেকেই আলোচিত ছবিটি মুক্তির এত বছর পরে আজও আলোচিত।

দেবদাস

চাষী নজরুলের আরেক নান্দনিক কাজ ‘দেবদাস’। ১৯৮২ সালে বুলবুল আহমেদ, কবরী ও আনোয়ারাকে নিয়ে তিনি যখন ছবিটি নির্মাণ করেন তখন বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন। কারণ শরৎ সাহিত্য নিয়ে ভারতে ততদিনে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল। তবে তিনি বেশ সফল হন। শরৎ সাহিত্য নিয়ে এটি দেশের দ্বিতীয় নির্মাণ হলেও এখন পর্যন্ত দর্শক পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। দেবদাসের ভূমিকায় বুলবুল আহমেদ এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিলেন যে আজও তিনি ‘বাংলার দেবদাস’ হিসেবে খ্যাত। ‘পার্বতী’র ভূমিকায় কবরীর অভিনয়ও ছিল অনন্য।  ছবিটিকে রিমেকের অজুহাত তুলে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। মজার কথা হচ্ছে ২০১৩ সালে ছবিটি পুনর্নিমাণ করেন শাকিব খান, মৌসুমী ও অপু বিশ্বাসকে নিয়ে। তখন ছবিটি ২টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।

বিজ্ঞাপন

শুভদা

১৯৮৬ সালে শরৎ সাহিত্য থেকে তার নির্মিত ‘শুভদা’ ১৩টি ক্যাটগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়। যেটি ছিল বিরল এক রেকর্ড। সে রেকর্ড আড়াই যুগ পর ভাঙ্গে গাজী রাকায়েতের ‘মৃত্তিকা মায়া’ ছবিটি।  রাজ্জাক, বুলবুল আহমেদ, জিনাত, গোলাম মুস্তফার পাশাপাশি এ ছবিতে অভিনয় করেন আনোয়ারা। যেটিকে তার ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ অভিনয় ধরা হয়।

হাঙর নদী গ্রেনেড

সেলিনা হোসেনের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ নিয়ে উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার সতজিৎ রায় ছবি নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। দেশের অন্যতম সেরা নির্মাতা আলমগীর কবির তো কিছুদিন শুটিংও করেছিলেন। তিনিও শেষ করতে পারেনি। তবে চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৯৭ সালে ছবিটি নির্মাণ করেন সরকারি অনুদান নিয়ে। এ ছবির প্রধান চরিত্রে সুচরিতার অভিনয় এখনও সবমহলে সমাদৃত। এ ছবিও ৩টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।

শাস্তি

শরৎ, সেলিনা হোসেনের পর চাষী নজরুল রবীন্দ্র সাহিত্য নিয়ে বানান ‘শাস্তি’। ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি এ দেশে রবীন্দ্র সাহিত্য নিয়ে বানানো প্রথম ছবি।  এ ছবির আগে দেশে রবীন্দ্র সাহিত্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবি নির্মিত হলেও কেউ স্বীকার করেননি। রিয়াজ, পূর্নিমা, চম্পা, ইলিয়াস কাঞ্চন অভিনীত ছবিটি ২টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।

ওরা ১১জন চাষী নজরুল ইসলাম দেবদাস শাস্তি শুভদা হাঙর নদী গ্রেনেড

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর