অনুতপ্ত নোবেল, চাইলেন আরেকটা সুযোগ
১৬ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:০৪
বিতর্ক ও গায়ক নোবেল- যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন জি-বাংলা রিয়েলিটি শো সারেগামা’র প্রতিযোগী গায়ক নোবেল। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী-সহ দেশের কিংবদন্তী শিল্পীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় বাজে মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়ে পড়েন এই শিল্পী।
এসব বিতর্কের কারনেই নোবেলের জনপ্রিয়তার যে কমে গেছে, তা প্রকাশ পেয়েছিল তার ইউটিউবে মিউজিক ভিডিও ‘তামাশা’ মুক্তির পর। সমালোচিত এ গায়কের তৃতীয় মৌলিক গান ‘তামাশা’ গানটির ভিডিও বানিয়ে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত করেছিলেন। এর পর পরই শুরু হয়ে যায় শ্রোতাদের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ। তার গান ইউটিউবে প্রকাশ পাওয়ার পর দর্শকদের লাইকের তুলনায় নজিরবিহীন ভাবে ডিসলাইক পরতে শুরু করে। মানে, নোবেলের এ ‘তামাশা’য় অপছন্দ দর্শক শ্রোতাদের। নোবেলের এ গানে ডিসলাইক ছাড়াও ‘বাজে’ মন্তব্য দিয়েছিলেন হাজারো দর্শক। যা কখনো ঘটেনি অতীতের কোনো গানে।
সর্বশেষ গত ১১ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে হঠাৎ করেই গান ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে বসলেন নোবেল। কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত, যদিও সেটা জানাননি তিনি। কিন্তু আজই আবার তার অতীতের সবকিছুর জন্য অনুতপ্ত হয়ে ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইলেন তিনি। চেয়েছেন আরও একবার সবকিছু নতুন করে শুরু করার সুযোগ।
আজ (১৬ জানুয়ারি) নোবেল তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘এত যে হেটার্স হেটার্স করো! আসলে এরা কারা? দিন শেষে সাউন্ডটেক চ্যানেল হোক, আর নোবেল ম্যান চ্যানেল হোক, এরা আমার গান কিন্তু টুকটাক শোনে। সেই অধিকারের জায়গা থেকে একটা আবদার করি ভাই-বোন-মা-বাবা, বাদ দাও না এবার।’
শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখলেন, ‘তোমরা আমার শ্রোতা, আমার কলিজা তোমরা। তোমাদের কারণেই আমি নোবেল। তোমাদের ছাড়া আমি কিছুই না। কিচ্ছু না! জিরো! যাস্ট জিরো!! ভুলের উর্ধ্বে কেউই না। কিন্তু ক্ষমা কি মহৎ গুন নয়?’
লিখলেন, ‘আমি জানি আমার মত দু-চারটা নোবেল না থাকলে সঙ্গীত জগতের কিচ্ছু আসবে যাবেনা। তবে আরেকটা সুযোগ চাই। বিশ্বাস রাখো, আমার কাছে বাংলা গানকে দেবার মত কিছু হলেও আছে।’
সবশেষে ভালোবাসা চেয়ে লিখলেন, ‘তবে কি এবার ঘৃণার সাগরের স্নানটা শেষ করে একটু ভালবাসা দেওয়া যায় না? আর কিচ্ছু চাইনা আমি, একটু ভালবাসা ছাড়া। আর কত কষ্ট দিবা? আমিও তো মানুষ।’
আর যাই হোক, একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করে যে দর্শক শ্রোতাদের মন জয় করা যায় না, সেটা হয়ত বুঝছেন তিনি। এখন দেখা যাক ‘কলিজার শ্রোতা’রা তাকে নতুন করে ভালোবাসেন কিনা?