শুরু হলো ‘ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’
১৬ জানুয়ারি ২০২১ ২০:৪১
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ এই শ্লোগানে শুরু হলো ‘ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। আজ (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় যাদুঘরের মূল মিলনায়তনে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ-এর উদ্যোগে এই উৎসব চলবে ২৪ জানুয়ারি (রোববার) পর্যন্ত। নয় দিনব্যাপী এবারের এই উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি।
ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বললেন, ‘করোনা ভাইরাসের সঙ্কটকালীন সময়ে সৃজনশীল মানুষদের এই উদ্যোগ প্রসংশনীয়। এই উৎসব বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বৈশ্বিকযাত্রা আরো সুসংহত করবে।’
মুজিব শতবর্ষের ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি উৎসর্গ করায় আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘সামাজিক-অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ভেদাভেদ ভুলে সকল সভ্যতার মানুষকে একত্রিত করতে পারে চলচ্চিত্র, তাই চলচ্চিত্র উৎসব সমাজের উতিবাচক ভূমিকা তৈরির জন্য গুরত্বপূর্ণ।’ তিনি একইসাথে প্রসংশা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার- যিনি দক্ষহাতে করোনা নিয়ন্ত্রণ করে দেশের সিনেমাহলগুলো খুলে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে দেশের নির্মাতাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উপযুক্ত চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো নিজেদের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পরিবেশনার সুযোগ করে দিয়েছে’।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার মি. বিক্রম কে দোরাইসামী বলেন, “বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিকাশে ভারত সবসময় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে এবার বাংলাদেশকে ‘ফোকাস’ করা হয়েছে।” ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে বলেও জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উৎসব পেট্রন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ এবং মফিদুল হক। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বরাবরের মত এবারের উৎসবেও থাকছে এশিয়ান ফিল্ম প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন ফিল্মস্, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম মেকার বিভাগ। তবে উৎসবে এবারই প্রথম সংযুক্ত হচ্ছে ‘লিজেন্ডারি লিডারস হু চেঞ্জ দি ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘ট্রিবিউট’ নামে আরো দু’টি নতুন বিভাগ, যা এবারের উৎসবকে আরও উচ্চতর মাত্রা দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এবারের উৎসবে মোট ৭৩টি দেশের ২২৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর স্থানগুলি হচ্ছে- জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, শিল্পকলার নন্দন থিয়েটার (মুক্তমঞ্চ), বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্স এবং সীমান্ত স্কয়ার সিনেপ্লেক্স। উৎসব চলবে আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ভারতীয় হাইকমিশনার মি. বিক্রম কে দোরাইসামী রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ