‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’ বিনা কর্তনে পাশ
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:২০
তরুণ নির্মাতা নানজীবা খান নির্মাণ করেছেন ‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’। চলচ্চিত্রটি গত ৪ ফেব্রুয়ারি সেন্সর বোর্ডে প্রদর্শিত হয়েছে। বোর্ড ছবিটিকে বিনা কর্তনে সেন্সর দিতে সম্মত হয়েছে।
বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মো জসীম উদ্দিন সারাবাংলাকে ‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’-এর সেন্সর প্রাপ্তির খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
পরিচালক নানজীবা খান জানান, বোর্ড তাদের মৌখিকভাবে সেন্সর প্রাপ্তির খবরটি নিশ্চিত করেছে। তবে এখনও সেন্সর সার্টিফিকেট হাতে পাননি তিনি।
ছবিটি আগামী মার্চ মাসে দেশের সিনেমা হলগুলোতে প্রদর্শনের ইচ্ছে পরিচালকের।
‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’-কে পরিচালক বলছেন পরীক্ষামূলক সিএসআর (কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) প্রকল্প। যেখানে জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭ টি এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) কে কেন্দ্র করে ২০০ টি সামাজিক সমস্যা প্রামাণ্যচিত্র ও ফটোশুটের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন নানজীবা।
প্রকল্পটির ‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’ নামকরণের কারণে প্রথমেই মনে হয় এটি যমজ মানুষদের গল্প। কিন্তু নানজীবা বলেন, এটা একদমই ভুল। আক্ষরিক অর্থে আনওয়ান্টেড মানে অবাঞ্ছিত। ‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’ মানে মানুষের লুকায়িত ‘দ্বৈত সত্তা’। তাই আমরা চেহারা দুই ভাগ করে কাজ করছি।
ফেইস আর্ট, প্রপ্স ও গ্রাফিক্সের সহায়তায় ২০০টি ইস্যু তুলে ধরেছেন নানজীবা।
ববি হক, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, জ ই মামুন, মারিয়া নূর, শিমুল মোস্তফা, শম্পা রেজা, প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি শাখাওয়াত মুন, জিতু আহসান, সানারাই দেবী সানু, অন্তু করিম, তৌহিদ আফ্রিদি, দেবাশিষ বিশ্বাস, তানজিব সারোয়ার, আরজে নীরবসহ দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের ২০০ জন ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন ‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’-এ।
এটি নানজীবা ব্যক্তি উদ্যোগে করা একটি প্রকল্প হলেও এর সঙ্গে ৪১টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান নানাভাবে সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছেন নানজীবা।
অন্বেষা প্রকাশন ২০০ টি ছবির সংকলন আকারে একটি ম্যাগাজিন বের করবে। ছবিগুলো এ মাস থেকে ফেসবুকে প্রকাশ করা হবে।
অন্যদিকে প্রামাণ্যচিত্রটি ‘সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ ‘জুরি মেনশন ডকুমেন্টারি ফিল্ম’ হিসেবে পুরষ্কার পেয়েছে।
সারাবাংলা/এজেডএস