কিছু গল্প আমাকে ঘুমোতে দেয় না: শফিকুর রহমান শান্তনু
৬ মার্চ ২০২১ ১৩:৫২
আরটিভিতে সম্প্রচার শুরু হলো নন্দিত নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু রচিত নতুন ধারাবাহিক ‘অফ দ্যা রেকর্ড’ নাটকের। সৈয়দ শাকিলের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রী। নতুন নাটক ও এই সময়ের কাজ নিয়ে সারাবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু।
- নতুন ধারাবাহিক ‘অফ দ্যা রেকর্ড’ সম্পর্কে কিছু বলুন—
নাটকটি এখন থেকে প্রতি শুক্র থেকে সোমবার রাত ১০টায় আরটিভিতে প্রচার হবে। অপূর্ব, মম, নাদিয়া নদী, শবনম ফারিয়া, সাজু খাদেম, আরফান, নিলয়, রওনক হাসান অভিনীত তারকাবহুল এই রোমান্টিক থ্রিলার ঘরানার নাটকটির বেশিরভাগ অংশের শুটিং হয়েছে নেপালে।
- এই সময়ে আপনার লেখা কয়টি ধারাবাহিক প্রচার হচ্ছে?
চ্যানেল আইতে প্রতি সোম ও মঙ্গলবার রাত ১১:৩০ এ প্রচার হচ্ছে ‘পরাধীন’। শামিমা আকতার বেবি পরিচালিত নাটকটিতে অভিনয় করেছে শহীদুজ্জামান সেলিম, সাবেরী আলম, আনিসুর রহমান মিলন, অর্ষা, উর্মিলা, সোহান খান সহ আরও অনেকে। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে এক মেয়ের সংগ্রামের গল্প বলা হয়েছে নাটকটিতে।
এছাড়াও নাগরিক টিভিতে প্রতি বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ১০টায় প্রচার হচ্ছে ’চাঁদের হাট’। প্রচেষ্টা প্রযোজিত নাটকটি পরিচালনা করেছেন মিলন ভট্টাচার্য। সালাউদ্দিন লাভলু, রুনা খান, নাদিয়া আহমেদ, নাবিলা, নাজিরা মৌ, ডা. এজাজ, সাজু খাদেম, মুকুল সিরাজ, রাশেদ মামুন অপু অভিনীত নাটকটি গ্রামের প্রেক্ষাপটে সিচুয়েশনাল কমেডি ঘরানার। নাটকগুলো দর্শক পছন্দ করেছে এটা আমাদের সবার জন্যই খুব আনন্দের। কারণ একটা নাটক দর্শকের প্রিয় তালিকায় নিয়ে যাওয়া কঠিন।
- একসঙ্গে একাধিক নাটক লিখতে সমস্যা হয় না?
নাটক লেখাই যেহেতু আমার পেশা আমি সময়টাকে সেভাবে ভাগ করে নিই যাতে সমস্যা না হয়। বিষয়বৈচিত্রের দিক থেকেও নাটকের গল্পগুলো পৃথক। তাই আমার লিখতে বসে একঘেয়ে লাগে না। বরং এক ধরনের উত্তেজনাবোধ করি। চরিত্রের কার্যকলাপ ও স্বপ্ন আমাকে তাড়িত করে।
- সম্প্রতি ২০২১ সালের বইমেলা উপলক্ষ্যে নতুন প্রকাশিত উপন্যাস ‘কেউ কেউ পুরনো হয় না’ ইতোমধ্যেই পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেছে। এ সম্পর্কে জানতে চাই—
মানুষ যেমন যত্ন করে কুকুর বেড়াল পোষে, আমি পুষি গল্প। কিছু গল্প আমাকে ঘুমোতে দেয় না। দিন রাত তাড়া করে। পাওনা টাকার জন্যে লোকে যেমন বারবার তাগাদা দিয়ে মাথা খারাপ করে ফেলে। তেমনি ওই গল্পগুলোও বারবার তাগাদা দিতে থাকে, আমাকে লেখো। তখন মনে হয়, এটা না লিখলে আমি পাগল হয়ে যাবো। কেউ কেউ পুরনো হয় না ঠিক সেরকম একটা গল্প। দৈনিক পত্রিকা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ভাবনার শুরু। রোজ পত্রিকাগুলো এত বিচিত্র, নৃশংস কখনো বা অনিন্দ্য সুন্দর খবর ছাপে যে, প্রতিটি খবরের পেছনে এক একটা অদ্ভুত গল্প লুকিয়ে থাকে। তেমনি বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ও চরিত্রের একসূত্রে গেঁথে যাওয়ার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় এরোমান্টিক থ্রিলার উপন্যাসের কলেবর। বইটি রকমারি প্রি অর্ডার থেকেই বেস্টসেলার লিস্টে ছিল। যারা পড়েছেন সবাই উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, এটা নিয়ে ওয়েব ফিল্ম বানাবার জন্যে।
- আপনি তো লেখালেখির পাশাপাশি জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করছেন—
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আমাদের গণমাধ্যম বিষয়ক অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণে বড় ভূমিকা রাখছে। সারাবছর সেখানে চলচ্চিত্র নির্মাণ, টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা কৌশল, ক্যামেরা চালনা, বেতার অনুষ্ঠান বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স হয়। সেসব কোর্সের অন্তর্ভুক্ত পাণ্ডুলিপি রচনা বিষয়ে আমি পড়াই। প্রশিক্ষণার্থীদের ঝলমলে চোখ আমাকে আন্দোলিত করে।