জাতীয় পতাকায় মুড়িয়ে দেওয়া হলো কবরীর শেষশয্যা
১৭ এপ্রিল ২০২১ ১৬:৩৩
মৃত্যু নিয়ে কিংবদন্তি কবরী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মানুষের জীবনে অনেকগুলো দরজা থাকে। তার মধ্যে মৃত্যু হলো শেষ দরজা। মৃত্যুর কথা মনে হলে আমার চোখ জলেতে ভরে যায়। কবরী আর কোনো দিন ফিরে আসবে না, সামান্য একটু কথা বলতেও নয়। সবাইকে ছেড়ে চিরকালের জন্য চলে যেতে হবে, ভাবলেই ভয় লাগে।’
যে মৃত্যুকে ভয় পেতেন কবরী সে মৃত্যুর মতো অমোঘ সত্যের কাছে হার মানতে হলো তার। আর বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ের শেষশয্যা হয়েছে বনানী কবরস্থানে। তার কবর মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পতাকা। এ সম্মান অভিনেত্রী কবরীকে নয়, মুক্তিযোদ্ধা কবরীকে জানানো হয়েছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধ যখন শুরু হয় কবরী তখন দেশের শীর্ষ নায়িকা। কিন্তু সে দিনের ২০ কিংবা ২১ বছরের তরুণী স্বার্থপরের মতো নিজের গা বাঁচাননি। দেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়তে ঘুরে বেড়িয়েছেন কলকাতার পথে পথে। বলেছেন পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের কথা। বলতে বলতে অজ্ঞান হয়েও গিয়েছেন, এমনও রেকর্ড রয়েছে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) বাদ জোহর বনানীর মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় বনানী কবরস্থানে। সেখানেই তার কবরকে জাতীয় পতাকায় মুড়িয়ে দেওয়া হয়।
৫ এপ্রিল করোনা নিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হন কবরী। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ৮ এপ্রিল তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সারাবাংলা/এজেডএস