Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিশ্চয় তারা আবার আড্ডায় মেতে উঠেছেন!

আহমেদ জামান শিমুল
২০ এপ্রিল ২০২১ ২১:১২

সিনেমার পর্দায় বেশির ভাগ সময় তারা ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী। নিজেদের অভিনয় গুণে তারা দর্শকদের করেছেন মুগ্ধ। মানুষ তাদের অভিনয়গুণে কখনও দিয়েছে হাততালি, কখনও দিয়েছে গালি। পর্দায় তাদের যতই লড়াই হোক না কেন, বাস্তবে তারা ছিলেন একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী। একজনের সুখে-দুঃখে আরেকজন ছুটে যেতেন। নিজের মনে করে পাশে দাঁড়াতেন।

বলছিলাম বাংলা চলচ্চিত্রের তিন কিংবদন্তির কথা— রাজ্জাক, খলিল ও এটিএম শামসুজ্জামান। তাদের বন্ধুত্বের স্মৃতি তুলে আনলেন নায়ক রাজ রাজ্জাকের ছোট ছেলে চিত্রনায়ক সম্রাট।

নিজের ফেসবুক আইডিতে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাজ্জাকের সঙ্গে খলিল ও এটিএম শামসুজ্জামানের দুটি আলাদা ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিগুলোর ক্যাপশনে তিনি জানিয়েছেন, তাদের বন্ধুত্বের কথা, ভালোবাসার কথা, পরপস্পরের প্রতি মমত্ববোধের কথা।

দুটি ছবিতে অসুস্থ নায়ক রাজের গায়ে রোগীর পোশাক। নাকে অক্সিজেনের পাইপ। চেয়ারে বসে তার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন খলিল ও এটিএম শামসুজ্জামান।

আবেগী ভাষায় লেখা ক্যাপশনটিতে সম্রাট লেখেন, ‘সময়টা ২০১২ হবে। আব্বা তখন কিছুদিনের জন্য স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনি সিওপিডির (করোনিক অবস্ট্রাকটিভ পলমোনারী ডিজিজ) রোগী ছিলেন। তার ভাইয়ের মত শ্রদ্ধেয় সহকর্মী ও বন্ধুরা তাকে সাহস জোগাতে সেখানে গিয়েছিলেন। আমি ওই সময়ে মুগ্ধ হয়ে দেখেছিলাম তাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা। তারা দীর্ঘক্ষণ একসঙ্গে আড্ডা দিয়েছিলেন। অনেক হাসাহাসি করেছিলেন এবং বহু পুরানো স্মৃতি রোমন্থন করেছিলেন। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে মুহুর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে পেরেছিলাম।’

এ তিন কিংবদন্তি বাংলা চলচ্চিত্রকে নিজেদের অভিনয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। কিন্তু তিন জনই আজ এ দুনিয়ায় নেই। দুনিয়ার আড্ডায় হয়তো অনেক নিয়মই মেনে চলতে হয়েছিল তাদের। আর এ করোনাকালে বেঁচে থাকলে তো এমন প্রাণবন্ত আড্ডায় দিতে পারতেন না। তারা যেখানে রয়েছেন সেখানে নিশ্চয় এত কিছুর চিন্তা নেই। নেই কোন সময়ের বাধা, নিয়মের বাড়াবাড়ি, নেই বাড়ি ফেরার তাড়া। তারা মেতে উঠতে পারেন বাধাহীন আড্ডায়। নিশ্চয় তারা সে সুযোগ মিস করছেন না!

সারাবাংলা/এজেডএস

এটিএম শামসুজ্জামান খলিল রাজ্জাক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর