কেবিনে স্থানান্তর ফারুককে
২৯ এপ্রিল ২০২১ ২২:০১
বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ ফারুকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে বুধবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে জানিয়েছেন ফারুকের স্ত্রী ফারহানা ফারুক।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গত ৪ মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ফারুক। গত ২১ মার্চ থেকে আইসিইউতে ছিলেন তিনি। বর্তমানে তার অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে এবং প্রায় এক মাস পর কথা বলতে পেরেছেন বলেও জানান ফারহানা ফারুক।
তিনি বলেন, ‘প্রায় এক মাস পর কথা বলেছেন, এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। এখন কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। আমাকে চিনতেও পারছেন। আইসিইউ থেকে কেবিনে দেওয়া হয়েছে। সবার কাছে আমরা দোয়া চাই।’
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে যান বরেণ্য অভিনেতা ও সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। পরীক্ষায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ অনুভব করছিলেন তিনি। সিঙ্গাপুরে নিজের পরিচিত চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। গত ২১ মার্চ তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
গত বছরের মধ্য নভেম্বরে সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ছিলেন।
গত কয়েক বছর যাবত অসুস্থ ফারুক। বেশ কয়েকবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। সেখানে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ লাইয়ের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসা নেন।
১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তিনি লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, সারেং বৌ, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে, মিয়া ভাই-সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
‘লাঠিয়াল’-এ অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে ‘শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৬ সালে ‘আজীবন সম্মাননা’ অর্জন করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে সফল ও সেরা নায়কদের একজন হিসেবে স্বীকৃত।
সবশেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ঢাকা-১৭’ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য হন।
সারাবাংলা/এজেডএস