শান্তি দিতেই প্রতিদিন ‘শান্তি মলম দশ টাকা’
২৫ মে ২০২১ ১৪:২৭
শান্তির বার্তা নিয়ে নির্মিত হল ধারাবাহিক নাটক ‘শান্তি মলম দশ টাকা’। হিমু আকরাম-এর রচনা ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন- সালাহউদ্দিন লাভলু, ডাঃ এজাজ, সিদ্দিকুর রহমান, আরফান আহমেদ, প্রাণ রায়, মুকিত জাকারিয়া, ফারুক আহমেদ, আমিন আজাদ, উর্মিলা শ্রাবন্তি কর, তানজিকা আমিন, মুনিরা মিঠু, তাহমিনা সুলতানা মৌ, হোসনেয়ারা পুতুল, মাসুদ রানা মিঠু, শফিক খান দিলু প্রমুখ। প্রচারিত হবে ২৬ মে থেকে প্রতিদিন রাত ৯ টা ২০ মিনিটে আরটিভিতে।
‘শান্তি মলম দশ টাকা’ গল্পে দেখা যাবে- অভিরামপুর গ্রামের কুব্বাত আলি বাঁদর দিয়ে হাত গনায়। বাঁদর নিয়ে তার কাজ কারবার। কুব্বাতের বাঁদরের নাম মিস্টার দুলাল। মিস্টার দুলাল আবার মানুসের ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারে। চোর ধরে দিতে পারে। হারিয়ে যাওয়া সোনার হার খুজে এনে দিতে পারে। তারপরও গ্রামের কিছু মানুষ কুব্বাতের বাঁদরের পিছে লাগে।
মিস্টার দুলালকে নিয়ে কুব্বাত একের পর এক ঝামেলায় পড়ে। বাঁদর নিয়ে ঘুরে বলে কুব্বাতের বিয়ে পর্যন্ত হয় না। প্রেমিকার এক কথা হয় বাঁদর ছাড়ো, না হয় আমাকে ছাড়ো! কুব্বাত ছাড়তে পারেনা কাউকেই। বার মাস অশান্তির মাঝে থাকা কুব্বাত তাই বিলি করে দশ টাকার শান্তি মলম!
কুব্বাতের এসিস্টেন্ট ব্যাটারি। সাইজে ছোট বলেই তার এই নাম। বাঁদরকে কোটপ্যান্ট পরানো, মাথায় নিয়ে ঘূরা তার কাজ। ভবিষ্যৎতে সেও একটা বাঁদরের মালিক হবে এই সপ্ন দেখতে দেখতেই ব্যাটারীর দিন যায়!
কুব্বাতের ছোট ভাই টিংকু। লেইসফিতা, শাড়ি, চুড়ি বিক্রি করে। সব বাড়ির মহিলাদের সাথে তার অন্যরকম ভাব ভালোবাসা। টিংকু শাড়ি চুড়ি নিয়ে বাড়ি বাড়ি ফেরি করে। লিপিস্টিক পরা ভাবিরা মুচকি হাসি দিলে তার মনের ভিতর উথালপাতাল করে। এই নিয়ে নিজের বউয়ের সাথে রুটিন মাফিক ঝগড়া হয় টিংকুর। ঘরের শান্তির জন্য টিংকুও ছুটে যায় বড় ভাইয়ের কাছে। খোঁজে শান্তি মলম!
গ্রামের নাম করা চোর লেদু । সোনা দানা থেকে প্ল্যাস্টিকের বদনা সবকিছুই সে চুরি করে। সুযোগ পেলে ব্যাংক ডাকাতি করবে এটাই লেদু চোরার সপ্ন। ভবিষ্যতে চুরি বিদ্যার উপর লেদুর একটা স্কুল খোলার ইচ্ছা। একমাত্র চ্যালা নান্নুকে নিয়ে নিয়ে গ্রামের এঘর ওঘর সাফ করে বেড়ায় সে। বছরে দুই একবার ধরাও খায়। লেদু চোরের যন্ত্রনায় অশান্তিতে অভিরামপুরের সবাই। দশ টাকার শান্তি মলম চায় জনগণও। বিপদে পড়লেই তাই শান্তির খোজে যায় কুব্বাতের কাছে।
বক্কর চেয়ারম্যান পর পর তিনবার ফেল করা। তবুও গ্রামের যে কোন ঝামেলা হলেই নিজ দায়িত্বে বিচার বসায় বক্কর। তার বিচার কেউ মানেনি কোনদিন। অতি মাত্রায় টাউটারি করে বলেই জনগণ অশান্তির মধ্যে থাকে। সেই অশান্তির সব গল্প শুনা যায় বাবুলের চা দোকানে বসলে। গ্রামের সবার আড্ডা বাবুলের চায়ের স্টলে। ট্রাম্প থেকে পুতিন, মঙ্গল গ্রহ থেকে সাব মেরিন – সবকিছুর খবর বাবুল জানে। কথা বলার মানুষ না পেলে একা একাই কথা বলে সে। বাবুল নিজেকে জ্ঞানের সাগর ভাবে। একমাত্র তার কাছে এসেই গ্রামের মানুষ শান্তি পায়। কারণ কুব্বাতের দশ টাকার শান্তি মলম এখানেও বিক্রি হয়!
শান্তি নাই গ্রামের মেয়েদের মনেও। কুব্বাতের প্রেমিকা বিউটি কিংবা টিংকুর স্ত্রী কোহিনুর, বক্করের স্ত্রী চায়না বিবি অথবা মোল্লাবাড়ীর বউ ববিতা – এরা সবাই অশান্তির মধ্যে থাকে রাত দিন। কারো মেকাপ বক্সের দুঃখ, কারো দুঃখ সিনেমা হলে না যেতে পেরে। একুশ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশনের দুঃখ কারো। কারো বা দুঃখ স্বামী বিদেশ থাকে বলে।
এইসব অশান্তিতে থাকা মানুষদের জন্য চাই শান্তি। সেই শান্তি দিতেই এখানে ওখানে ছুটে চলে কুব্বাত। মিস্টার দুলাল আর আর দশ টাকার শান্তি মলম নিয়ে!
‘শান্তি মলম দশ টাকা’ আরটিভি ধারাবাহিক নাটক ধারাবাহিক নাটক ‘শান্তি মলম দশ টাকা’