বোদ্ধা দর্শকদের নজর কেড়েছে ‘মিস্টার কে’
২৮ মে ২০২১ ১৪:৫৮
কথা সাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদের উপন্যাস ‘নোভা স্কশিয়া’ অবলম্বনে ‘মিস্টার কে’ নামের টেলিফিল্ম নির্মাণ করেছেন পরিচালক ওয়াহিদ তারেক। ‘বঙ্গ বব-সিজন ওয়ান’ এর এই বিশেষ টেলিফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন পার্থ বড়ুয়া, অর্ষা, সুষমা, শাহেদসহ আরও অনেকে। ১৯ মে ঈদের ৬ষ্ঠ দিন থেকে এটি প্রচারিত হচ্ছে বঙ্গ বিডিতে।
ধনী বাবার বিদেশি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে ছেলেকে সাহায্য করছেন এক পরিসংখ্যানবিদ। সব হিসেব কি অঙ্কতে মিলবে? এমনই এক রহস্যের সমাধান মিলবে এই টেলিফিল্মে।
‘মিস্টার কে’ কেমন চলছে জানতে চাইলে বঙ্গ’র চিফ কনটেন্ট অফিসার জনাব মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গ বব-সিজন ওয়ান’-এর সবগুলো কনটেন্ট থেকেই ভালো সাড়া পাচ্ছি। মিস্টার কে ভিন্নধর্মী গল্প হওয়ায় বোদ্ধা দর্শকদের কাছ থেকেও ভালো ফিডব্যাক পাচ্ছি। কয়েকদিন হলো মাত্র, কনটেন্টটি প্রকাশিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই যে সাড়া মিলেছে ভবিষ্যতে আরও ভালো ফিডব্যাক পাবো বলে মনে করছি।’
অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা বলেন, ‘মিস্টার কে’তে অভিনয় করে ভালো সাড়া পাচ্ছি। এটার সাড়া পাওয়া আমার জন্য পজিটিভ। আমার কাছে যেটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে যে, দেশীয় উপন্যাসের উপর বেইজড করে বঙ্গবিডি কাজ করেছে। সাধারণত দেখা যায় যে বিদেশি গল্প নিয়ে নিজেদের মতো করে নির্মাণ করা হয়। আমাদের নিজেদেরওতো অনেক ধরনের গল্প থাকতে পারে। আমাদের নিজেদের গল্পগুলো নিয়ে অনেক দিন কাজ করা হয় নাই। এই বিষয়টাকে আমি সাধুবাদ জানাই। মিস্টার কে নিয়ে আমার একটা কনফিউশন ছিল যে, এই গল্পটা এ রকম যে এটা সবাই হুট করে বুঝে উঠতে পারবে না। এই গল্পগুলো সবার জন্য বোধগম্যও নয়। তারপরও বেশ সাড়া পাচ্ছি। তবে এ ধরনের গল্প আমার খুব পছন্দের।’
পরিচালক ওয়াহিদ তারেক বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেই। তারপরও প্রচুর ফোন পাচ্ছি এই টেলিফিল্মটি নির্মাণ করে। এতে আমি সত্যিই অবাক হয়েছি।’
কথা সাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘মিস্টার কে’ অপ্রত্যাশিত সাড়া ফেলেছে। লেখক হিসেবে বলতে পারি আমার গল্পটা ভিজ্যুয়ালি আনা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু গল্পে কিছু কাটছাঁট করতে হয়েছে। তারপরও গল্পটি ভালোভাবেই ভিজ্যুয়ালাইজড করতে পেরেছেন পরিচালক। এ জন্য তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। বিশেষ করে পার্থ বড়ুয়া, সুষমা সরকার, অর্ষাসহ প্রত্যেকেই খুব ভালো অভিনয় করেছেন। সব মিলিয়ে এটা একটা ভালো প্রযোজনা ছিল। বঙ্গকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে হয়, কারণ বঙ্গ যদি বই থেকে এ রকম একটা উদ্যোগ না নিতো তাহলে কিন্তু এই উপন্যাস কখনোই আমরা ভিজ্যুয়ালি আমরা দেখতে পেতাম না। এই সম্ভাবনাটা কখনোই বের হয়ে আসতো না। এই টেলিফিল্মটি প্রচারিত হওয়ার পর থেকে অনেকেই আমাকে অনুরোধ করেছেন আমি যেন ড. আনামকে নিয়ে আরও লিখি। এটা যেন একটা সিরিজ থ্রিলার হিসেবে প্রকাশ করি-এ রকম আইডিয়াও অনেকে দিচ্ছেন। সেটাকেও আমি খুব পজিটিভলি দেখছি। প্রচুর সাড়া পেয়েছি, প্রচুর ফোন, প্রচুর ফেসবুকে মেসেজ পাচ্ছি। রিভিউ হচ্ছে, বিভিন্ন গ্রুপে, আলোচনা হচ্ছে, ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে জানাচ্ছেন- এটা আমার জন্য একটা নতুন অভিজ্ঞতা।’
সারাবাংলা/এজেডএস