পাকিস্তানি টিভি সিরিয়ালে বাংলায় রবীন্দ্রসংগীত!
৭ জুন ২০২১ ১৫:৪৩
জাতি, ধর্ম, দেশ, কাল পাত্রের উর্ধ্বে তার অবস্থান। সারাবিশ্ব তার গুণগ্রাহী। তার রচনা সারাবিশ্বের কাছে মহামূল্যবান সম্পদ। এই বাঙালি সন্তানের গর্বে গর্বিত বাঙালি জাতি। তিনি বাঙালির কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যাকে নির্দিষ্ট কোনো সীমানায় আবদ্ধ করে রাখা যায় না। যেমনটা যায়নি এদেশে পাকিস্তান আমলেও। ১৯৬১ থেকে ৭১- এদেশে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করলো পাকিস্তানের আয়ুব সরকার ও তার দোসররা। ১৯৬৫ ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের সময় পকিস্তান রেডিও থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয় । পাকিস্তানের কাছে রবীন্দ্রনাথ হয়ে ওঠেন শত্রু দেশের এক কবি। কিন্তু দীর্ঘ বছর পরে সেই পাকিস্তানেই রবীন্দ্রসংগীত। তাও আবার জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালে!
Other part of the Rabindrasangeet in Pakistani TV serial “Dil Kiya Karay”
Director- Mehreen Jabbar
Singer: Sharvari Despande
Actor- Yumna Zaidi https://t.co/pJHqvwUfn6 pic.twitter.com/qCcIfQiOuZ— Adil Hossain (@adilhossain) June 3, 2021
এমনই ভিডিও ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের এক টিভি সিরিয়ালে পরিষ্কার বাংলা উচ্চারণে গাওয়া হয়েছে ‘আমারও পরাণ যাহা চায়’। আর তা দেখে উচ্ছ্বসিত বাঙালি দর্শকরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন পাকিস্তানি পরিচালক মেহরিন জাব্বার। তিনি আবার ইনস্টাগ্রাম লিংকও দিয়েছেন। যাতে দেখা যায় ভিডিওটি বেশ পুরনো। নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। মেহরিন জাব্বার পরিচালিত ‘দিল কেয়া করে’ ধারাবাহিকে ব্যবহার করা হয়েছিল গানটি। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের টেলিভিশনে জনপ্রিয় হয়েছিল ধারাবাহিকটি। ক্যাপশনে মেহরিন জানিয়েছেন, শর্বরী দেশপাণ্ডে গানটি গেয়েছিলেন। পুরনো এই ভিডিওটিই আদিল হোসেন নামে একজন বাঙালি ইউজারের চোখে ধরা পড়ে। তিনি সেটি আবার ৩ জুন টুইটারে শেয়ার করেছেন। আবার একই দিনে ইউটিউবে যে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে সেটি রঙিন। সেখানে আবার নায়কের অনুরোধে নায়িকা তাকে ‘আমারও পরাণ যাহা চায়’ গানটি শোনাচ্ছে।
২০১৯ সালে পাকিস্তানের জিও টিভিতে সম্প্রচারিত হয় ‘দিল কেয়া করে’ ধারাবাহিকটি। মেহরিন জাব্বার-এর পরিচালনায় এই সিরিজের সংগীত পরিচালনায় ছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীত তারকা শাদাত আলী। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফিরোজ খান, ইয়ুমনা জায়দি ও মির্জা জাইন বাগ।