রবিবার (৬ জুন) তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যাতে তারা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে মন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু দাবি-দাওয়া পেশ করেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল কোন চলচ্চিত্র সেন্সর করাতে গেলে অবশ্যই পরিচালক সমিতির সনদ লাগবে। আর এ পূর্বানুমতির বিষয়টিতে আপত্তি জানিয়েছে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সংগঠনগুলো।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ আপত্তি জানিয়েছে। বিবৃতি পাঠানো সংগঠনগুলো হচ্ছে— বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম, বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটি, বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ, বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট, ঢাকা ডকল্যাব, ফিল্ম উইদাউট ফিল্ম।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সম্প্রতি (রবিবার) অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উঠে আসা কিছু সুপারিশ এবং বক্তব্য আমাদের কাছে অনভিপ্রেত এবং সামগ্রিকভাবে দেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হয়েছে। বিশেষ করে চলচ্চিত্র সেন্সরের জন্য একটা বেসরকারি সংগঠনের পূর্বানুমতি নেয়ার দাবিটি যেমন নিয়ম বহির্ভূত, তেমনই অযৌক্তিক এবং হাস্যকর।
এছাড়া সভায় উঠে আসা ‘অনুদানের ছবিতে শুধু আর্ট ফিল্ম নয়, এখন বাণিজ্যিক ছবির সংখ্যা বাড়ানো হবে’ -বক্তব্যটি অনুদান নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। বাণিজ্যিক ছবির প্রযোজনায় কেন জনগণের অর্থ ব্যয় হবে তার ব্যাখ্যা যেমন আমাদের কাছে স্পস্ট নয়, তেমনি কেন ২০টি প্রেক্ষাগৃহে এসব ছবি মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে নির্মাতার কেন বাধ্যবাধকতা থাকবে তারও কোনও যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই।
শিল্প-সংস্কৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যদি ব্যবসার অংশে পরিণত করা হয় তবে তা হবে স্বেচ্ছাচারী এবং অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। এখন আমাদের সকলেরই উচিত জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালাকে সামনে এনে সেই ভিত্তিতে চলচ্চিত্র সংস্কৃতির বিকাশকে ত্বরান্বিত করা।
আমাদের তরুণ নির্মাতাগণ ইতোমধ্যেই তাদের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে অনেক সুনাম এবং পুরস্কার অর্জন করেছেন। তাঁদেরকে অযৌক্তিক বিধি-নিষেধের বেড়াজালে আটকে না রেখে সরকারের উচিত হবে এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য সহায়তা দেয়া।’