‘লগান’-এর ২০ বছর, প্রাক্তন স্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানালেন আমির
১৫ জুন ২০২১ ১৭:৫৪
২০০১ সালের ১৫ জুন। বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল আমির খানের ‘লগান’। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এমন একটি ছবি, যে ছবিতে ভারতের ইতিহাস, ক্রিকেট এবং ক্রিকেট প্রেমকে এত সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা এর আগে অন্য কেউ করতে পারেনি। ছবির কাহিনী, কলাকুশলী, স্পট- সবই যেন জীবন্ত। জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল ম্যাগাজিন ‘টাইম’র দৃষ্টিতে সর্বকালের সেরা স্পোর্টস মুভির তালিকায় শীর্ষে আছে এই ‘লগান’ ছবিটি। বিশ্বের সব বিখ্যাত পরিচালক, অভিনেতাদের বিগ বাজেট সব ছবিকে পেছনে ফেলে ‘লগান’ জিতেছিল ‘টাইম’র এই উপাধি। সে সময় ছবিটিকে সর্বকালের সেরা স্পোর্টস মুভি হিসেবে ঘোষণা করে ‘টাইম’ ম্যাগাজিন লেখে, “যারা ক্রিকেট সম্বন্ধে কিছুই বোঝে না তাদের কাছেও ছবিটি দারুণ উপভোগ্য একটি ছবি। ছবিটি সব দেশের, সব বয়সের, সব শ্রেণীর মানুষের জন্যই প্রযেজ্য। তাই এটা ‘টাইম’র দৃষ্টিতে সর্বকালের সেরা স্পোর্টস মুভি।”
শুধু কি তাই? ‘লগান’ পৌঁছেছিল অস্কার আসর পর্যন্ত। এ.আর রহমানের সুর ২০০২ এর অস্কার আসরের সবার মন কেড়ে ছিল। এই ছবিটি অস্কারের সেরা বিদেশী চলচ্চিত্রের মধ্যে ১৪ তম স্থান দখল করে নেয়।
আজ (১৫ জুন) বিশ বছরে পা দিল এই ছবি। সেই প্রসঙ্গে এবার স্মৃতিচারণে ডুবলেন ‘লগান’-এর ‘ভুবন’ আমির খান। জানালেন ‘লগান’-এর বিশেষ কোনও একটি ব্যাপার নয় বরং গোটা ছবির স্মৃতিটাই আজও তার হৃদয় জুড়ে রয়েছে। এরপরেই আমির তার তৎকালীন স্ত্রী ছিলেন রিনা দত্তকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বললেন, “তবে ‘লগান’ ছবিটি নিঃসন্দেহে আমি রিনা-কে উৎসর্গ করব। ও না থাকলে হয়তো এই ছবিটাই তৈরি হতো না। রিনা এই ছবির প্রযোজকের ভূমিকা পালন করেছিল এবং এতটাই দক্ষভাবে ও নিষ্ঠাভরে তা করেছিল যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। আর তার ফলাফল তো সবাই দেখতেই পেয়েছেন।”
আমির আরও বললেন, “শুধু এটুকু বলবো, ‘লগান’-এর আগে ছবি তৈরির বিষয়ে নূন্যতম জ্ঞানটুকু অবধি ছিল না রিনার। আমার সঙ্গে ততদিনে বহু বছর সংসার করে ফেলেছিল সে। তা সত্ত্বেও ওই হাল ছিল। তবে আমি যেদিন ‘লগান’ প্রযোজনা করার সিদ্ধান্ত ওকে জানাই এবং বলি যে আমার সাহায্যের দরকার তখন কিন্তু চরম অবাক হলেও রিনা মুখ ঘুরিয়ে নেয়নি।”
‘লগান’ বলতে রিনাকেই মনে পড়ে জানিয়ে ‘লগান’-এর ‘ভুবন’ আমির জানালেন, “রিনা নিজের চেষ্টায় শিখেছিল ছবি তৈরির সমস্ত টেকনিক্যাল ব্যাপার স্যাপারগুলো। সুভাষ ঘাই থেকে শুরু করে মনমোহন শেট্টির কাছে দিনের পর দিন গিয়ে পড়ে থেকেছে। তাদের থেকে জেনেছে, শিখেছে ছবি তৈরির খুঁটিনাটি দিকগুলো। বিভিন্ন পরিচালক, প্রযোজক এমনকি নানান কলাকুশলীদের সঙ্গে প্রতিদিন মিটিং করেছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছিল শুধুমাত্র সে ‘ফিল্ম মেকিং’ শিখবে বলে। এবং কী অসম্ভব ভালো শিখে সেই শিক্ষা সে প্রয়োগ করেছিল ‘লগান’-এ, তা আজও ভেবে অবাক হই আমি। সত্যই অবিশ্বাস্য! তাই ‘লগান’ বলতে রিনার নাম আমার কাছে প্রথম ভেসে ওঠে!”