সালমানের বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য নয়, কেআরকে-কে আদালত
২৪ জুন ২০২১ ১৯:১২
কমল রশীদ খান, সংক্ষেপে ‘কেআরকে’- বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক হিসেবেই পরিচিত তিনি। তার ফিল্ম রিভিউ নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায়। দিন কয়েক আগে সালমান খানের ‘রাধে : ইয়োর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই’-এর রিভিউ দিতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে ঝরঝরিয়ে কাঁদলেন এই ‘কেআরকে’। এক কথায় সালমান খানকে রীতিমতো রোস্ট করেন কেআরকে।
এরপর গত ২৫ মে আবার টুইটারে বোমা ফাটান কেআরকে। তার দাবি, সালমান খান নাকি মানহানির মামলা ঠুকেছেন কেআরকের নামে। সালমান খানের উকিলদের পক্ষ থেকে একটি আইনি নোটিশ কেআরকের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। মুম্বাইয়ের এক নগর দায়রা আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর থেকেই ইউটিউব ভিডিও থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক নিত্যনতুন বক্তব্য ও দাবি পেশ করেছেন স্বঘোষিত এই ফিল্ম সমালোচক। এমন কি সালমান খানের কেরিয়ার শেষ করে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কেআরকে!
এসব কারণে সালমান খান, কমল রশীদ খানসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন তার ব্যক্তিগত জীবন ও ‘রাধে’ ছবি নিয়ে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য। সালমানের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ছবির মান নিয়ে মন্তব্য যে কেউ করতে পারেন- সেই বিষয়ে সালমানের আপত্তি নাই। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ যেন না করা হয়- যার কোনও ভিত্তি নাই।
বুধবার (২৩ জুন) বিচারক সি ভি মারাথের রায় গেল ভাইজানের পক্ষেই। অন্তর্বতীকালীন আদেশে বিচারক জানান, আগামিদিনে সালমান খান বা তার পরিবার ও প্রযোজনা সংস্থার কোনও শেয়ার হোল্ডারের বিরুদ্ধে কোনওরকম অপমানজনক, অবমাননাকর মন্তব্য, মানহানিকর ভিডিও তৈরি বা প্রকাশ করতে পারবে না কেআরকে। আদালত থেকে বলা হয়, ‘মর্যাদা ও আত্মসম্মান, শারীরিক সুরক্ষা এবং স্বাধীনতার চেয়েও একজন ভদ্রলোকের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ নয়’।
বিচারক এই মামলায় অন্তর্বতীকালীন রায়ে সালমানের আবেদনকে মান্যতা দিয়েছেন। তিনি জানান, কারুর নাম দিয়েই সেই ব্যক্তি সমাজে পরিচিত হয়, তাই সেই নামের গুরুত্ব সম্পত্তির চেয়ে বেশি, ব্যক্তির কাছে নিজের নাম মহামূল্যবান। আদালতের অর্ডারের প্রতিলিপিতে জানানো হয়েছে, অভিনেতার আবেদন সাময়িকভাবে যুক্তিযুক্ত মনে করেছে আদালত।
এদিকে, ফিল্ম ক্রিটিকদের আইনজীবী মনোজ গড়করি পাল্টা বলেন, সালমান খান পাবলিক ফিগার, তাই সমালোচনা মাথা নত করে মেনে নিতে শিখতে হবে তাকে। একই সঙ্গে তিনি বলেন তার মক্কেল শুধুমাত্র একটি ছবি সম্পর্কে নিজের ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেছিলেন, তার বাইরে কিছুই বলা হয়নি।