সায়রা বানুর জন্য আরও বাঁচতে চেয়েছিলেন দিলীপ কুমার
৮ জুলাই ২০২১ ১৯:২৩
চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমার। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাই পরিজন এবং লক্ষ লক্ষ অনুরাগীদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে তাকে। বয়সজনিত কারণে নানা রোগের শিকার হয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল রোগভোগ। বুধবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালের শয্যাতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। মৃত্যুর সময় তার পাশে ছিলেন স্ত্রী সায়রা বানু। প্রায় পাঁচ দশকের বেশি সময় জুড়ে দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন এই জুটি। এক সাক্ষাৎকারে দিলীপ কুমার জানিয়েছিলেন, তার বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হয় কেবলমাত্র স্ত্রী সায়রা বানুর জন্যেই।
১৯৬৬ সালে বিয়ে করেন দিলীপ ও সায়রা। শেষ কয়েক বছরে নিজেকে পুরোপুরি সায়রার হাতে সঁপে দিয়েছিলেন তিনি। ২০১২ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিলীপ কুমার জানিয়েছিলেন, ‘একমাত্র আমার স্ত্রী সায়রার জন্য আরও বেঁচে থাকতে বড্ড ইচ্ছে করে। তার হাসিমুখ দেখার জন্যই প্রতিনিয়ত আমার বাঁচতে ইচ্ছে করে। জীবন সায়াহ্নে এসে বুঝেছি মা ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকেই সায়রার মতো এত নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পাইনি আমি।’ সায়রা বানু যেন তাকে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায় বলে মনে করতেন তিনি।
ওই সাক্ষাৎকারে দিলীপ কুমার আরও বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন ঘুম ভাঙার পর যখন দেখি ও কী না করে সারাদিন জুড়ে, শুধুই আমার মন ভালো রাখার জন্য, দেখে আমার মন ভরে যায়। এখন আমরা শুধুই পরস্পরের আনন্দটুকুই চাই। এর বেশি জীবনে থেকে আর কোনও দাবি নেই আমাদের। বরাতে জোর না থাকলে এমন জীবন কেউ পায়!’
সায়রা বানুর সঙ্গে দিলীপ কুমার বয়সের পার্থক্য অনেক। সায়রা বানু প্রায় ২২ বছরের ছোট দিলীপ কুমারের থেকে। তাই সায়রাকে যখন দিলীপ কুমার বিয়ে করেন তিনি তখন তার স্বামীর বোনদের থেকেও বয়সে ছোট ছিলেন। হাসি মুখে দিলীপ কুমার জানালেন, ‘আমাকে অবাক করে দিয়েছিল সায়রা। এত সুন্দরভাবে নিজেকে আমাদের পরিবারে মানিয়ে নিয়েছিল যে বলার নয়। ছোট্ট পরিবার থেকে আসা সায়রা আমার বিরাট সংসারটাকে যেভাবে গুছিয়েছে নিজের হাতে, তা এককথায় অবিশ্বাস্য!’
সারাবাংলা/এএসজি
