ধ্রুপদী অভিনেত্রী ববিতার জন্মদিন
৩০ জুলাই ২০২১ ১৬:০৩
বাংলা চলচ্চিত্রের একজন ধ্রপদী অভিনেত্রীর নাম ববিতা। পুরো নাম ফরিদা আক্তার পপি হলেও তিনি ববিতা নামেই ভক্তদের কাছে একনামে পরিচিত। তিনি তার ক্ষুরধার অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। যে উচ্চতায় পোঁছালে কেবল নক্ষত্রের মতো জ্বল জ্বল করা যায়।
বাংলা চলচ্চিত্রে তারার মতো জ্বল জ্বল করা অভিনেত্রী ববিতার শুক্রবার (৩০ জুলাই) ৬৮ তম জন্মদিন। ১৯৫৩ সালের আজকের এই দিনে (৩০ জুলাই) তিনি বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
ববিতা অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৩৫০-এরও বেশি। ৮ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রের অভিনেত্রী, শ্রেষ্ঠ প্রযোজক এবং পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা।
ববিতা ৭০-৮০ দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তখনকার সময়ে তার একেকটি চলচ্চিত্র ছিল বিজলীর মতো। চোখ ধাঁধানো উজ্জলতা নিয়েই দর্শকদের সামনে হাজির হতেন। একমাত্র ববিতাই ছিলেন প্রেক্ষাগৃহে উপচেপড়া দর্শকদের প্রধান আকর্ষণ। সেসময়ে তার অভিনয় দেখে প্রেমে পড়েন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
১৯৬৮ সালে প্রখ্যাত নির্মাতা জহির রায়হান’র ‘সংসার’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন ববিতা। ‘সংসার’ ছবিতে চলচ্চিত্রে রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের ‘জ্বলতে সুরুজ কি নিচে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে ‘ববিতা’ নাম নেন, এর আগে সূবর্ণা নামেই অভিনয় করতেন।
দূর্দান্ত প্রতাপে অভিনয় করতে থাকা ববিতা চোখে পড়ে যান অস্কারজয়ী বিখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের। অভিনয় করেন তার পরিচালিত ‘অশনি সংকেত’ ছবিতে। যে ছবিতে অভিনয়ের কারণে ববিতা আন্তার্জাতিক অভিনেত্রীর মর্যাদা লাভ করেন।
সত্যজিৎ রায় প্রথমে ববিতাকে দেখে অনেক লাজুক ভেবেছিলেন। তাই ইন্দ্রপুরের স্টুডিওতে তিনি তাকে নানারকম পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সত্যজিত বলেছিলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি এই মেয়েটি সেদিনের সেই মেয়েটি। আজকে এই মেয়ে সম্পূর্ণ অন্য মেয়ে। এই আমার অনঙ্গ বউ।’
সারাবাংলা/এজেডএস