মেধাবী শিল্পীরা যথাযথ সুযোগ পাচ্ছেনা বলেই মনে করেন রুনা লায়লা
২ আগস্ট ২০২১ ১৯:০২
দেশে অনেক মেধাবী শিল্পী আছে, কিন্তু তাদেরকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো হচ্ছেনা বলেই মনে করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা । এক আলাপে এমনটাই বললেন এই কিংবদন্তি।
বর্তমানে ঘরে বসে নানান ধরনের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তিনি। কখনো গানের সুর করেন, কখনো গান শোনেন, কখনো টিভি দেখেন আবার কখনো বই পড়েন। এই প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পীদের প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ‘সত্যি বলতে কী আমাদের দেশে কিন্তু অনেক মেধাবী শিল্পী আছে। কিন্তু তাদেরকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো হচ্ছেনা। তাদেরকে কাজে লাগানো হচ্ছেনা বলেই তাদের মেধার বিকাশ ঘটছেনা। তারপরও কেউ কেউ আছেন নিজেদের মেধা বিকাশের জন্য নিজের মতো করেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের সাধুবাদ জানাতেই হয়। তবে আমি বিশ্বাস করি যেসব মেধাবী শিল্পী আছে তারা ভালো সুযোগ পেলে নিজেদের মেধা প্রকাশ করতে পারবে।’ পাশাপাশি একজন ভালো ইনভেস্টরেরও প্রয়োজন করেন তিনি।
বর্তমান সময়ে মৌলিক গানের খুব অভাব রয়েছে বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আবার এটাও সত্যি যে এই প্রজন্মের শিল্পীদের মৌলিক গানের খুব অভাব। যে কারণে তাদের নির্দিষ্ট কয়েকটি গানের বাইরে আমাদের গানগুলোই সাধারণত গেয়ে থাকে। এটা খারাপ বলছিনা আমি। কিন্তু তারপরও নিজেদের মৌলিক গানের সংখ্যা বাড়াতে হবে। নিজেদেরকে যথাযথভাবে তৈরী করেই মৌলিক গানের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গন আরো সমৃদ্ধ হবে, আমাদের এই প্রজন্মের শিল্পীদেরও নিজেদের আলাদা স্পেশাল আইডেন্টিটি হবে, তারা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করবে এটাই আমি প্রত্যাশা করি।’
বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ন্যান্সি, কনা, ইউসুফ, ইমরান, লুইপা, হৈমন্তী, ঝিলিক, কোনাল ভালো করছে। তারা সত্যিই খুউব ভালো গায়। নিজেদের প্রতি আরো যত্নশীল হলে তারা আরো ভালো করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
রুনা লায়লা প্রথম সুর করেন আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’তে। প্রথম সিনেমাতে সুর করেই তিনি সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। নতুনদের মধ্যে তার সুরে গান গেয়েছেন লুইপা, হৈমন্তী।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রকোপ শুরু হবার পর থেকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া একদমই বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। এরমধ্যে শুধু টিকা নেবার জন্য এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পুর্তি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। কারণ তিনি মনে করেন করোনার মধ্যে ঘরের বাইরে যাবার চেয়ে ঘরে থাকাটাই বেশি নিরাপদ। মাঝে তার স্বামী নায়ক, প্রযোজক, পরিচালক আলমগীরের করোনা হওয়ায় বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি।
সারাবাংলা/এএসজি