পরীর বাবা খুন হন এবং মা আগুনে পুড়ে মারা যান
৬ আগস্ট ২০২১ ১৮:১৫
চিত্রনায়িকা পরীমনিকে র্যাব আটক ও মামলা দেওয়ার পর থেকে তার অতীত নিয়ে নানা ধরনের তথ্য বের হয়ে আসছে। এ নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলোর অনুসন্ধানে জানা গেছে তার অতীত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য। তার বাবা-মা দুজনেরই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গেছে।
পরীমনির জন্ম তার দাদার বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায়। তবে বড় হয়েছেন নানার বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার সিংহখালী গ্রামে। স্কুল সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার জন্ম ১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর। পরীর প্রকৃত নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি।
পরীর বাবার নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি ভগীরথপুর পুলিশ ক্যাম্পের একজন কনস্টেবল ছিলেন। মায়ের নাম সালমা সুলতানা। পরীর নানার নাম শামসুল হক গাজী। তিনি ভগীরথপুর স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার নানী মৃত ফাতিমা বেগমও দক্ষিণ সিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
বয়স যখন মাত্র তিন, তখন পরী তার মাকে হারান। ১৯৯৫-৯৬ সালের দিকে পরীর বাবার পোস্টিং হয় ঢাকায়। সেখানে একটি বাসায় আগুনে পুড়ে গুরুতর দগ্ধ হন পরীর মা। কিছুদিন চিকিৎসার পর তাকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যান মনিরুল ইসলাম। দুই মাস পর সেখানেই তিনি মারা যান। এরপর থেকেই পরী নানা-নানীর কাছে থেকেছেন।
পঞ্চম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন পরী। স্কুল পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজে ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩.৫ জিপিএ পেয়ে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে মানবিক বিভাগে ভর্তি হন। তবে এরপর তিনি পড়াশুনা চালিয়ে যাননি বলে কলেজের শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
কোনো এক কারণে পরীর বাবার পুলিশের চাকরি চলে গিয়েছিল। এরপর এলাকায় এসে ব্যবসা শুরু করেন। সে ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ পরীমনির বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এসএসসি পাসের আগেই ২০১০ সালের দিকে পরীমনিকে তার নানা গাজী ছোটশৌলা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে ইসমাইলের সঙ্গে বিয়ে দেন। জাকির হোসেন ভোলায় বসবাস করেন। তিনি জনতা ব্যাংকে চাকরি করেন। ২ বছর পরই ইসমাইলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
তবে জানা যায়, কলেজে ভর্তি হওয়ার কিছু দিন পর ঢাকার শোবিজ জগতের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয় পরীমনির। এরপর ২০১৪ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। যদিও তার প্রথম ছবি ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ মুক্তি পায় ২০১৫ সালে।
সারাবাংলা/এজেডএস