বেঁচে থাকলে রাজপুত্রের বয়স হতো ৫০
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৩৩
নায়ক রাজ রাজ্জাকের পরে বাংলা চলচ্চিত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য করেছেন যিনি, তিনি হচ্ছেন সালমান শাহ্। বাংলা চলচ্চিত্রের রাজপুত্র ছিলেন তিনি। তার সে অবস্থান এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি। সে মহানায়কের বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হতো ৫০।
১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে তার আগমন। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ২৭টি ছবিতে। ক্ষণজন্মা এ মানুষটি এ স্বল্প সময়েই তার প্রতিভার অনন্য স্বাক্ষর রেখে গিয়েছিলেন।
যে সময়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে পঞ্চাশোর্ধ নায়করা মাথায় উইগ লাগিয়ে কলেজ পড়ুয়া হিসেবে অভিনয় করেন। এসব দেখে দেখে তখনকার তরুণ প্রজন্ম ক্লান্ত। ঠিক ওই সময়ে এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টির মতো আগমন সালমানের।
তার লুক, স্টাইল, ফ্যাশন সচেতনতা কিংবা সরল অভিনয় দর্শকরা লুফে নিলেন। রাতারাতি তার ভক্ত অনুরাগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলো। ব্যস্ততাও বাড়লো সমানুপাতে।
কিন্তু বলা হয়, বেশি ভালো ভালো না। তাই তো মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। মৃত্যুর সময় তার হাতে ছিলো ১৪টি ছবি।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তাকে ইস্কাটনের বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলো। আত্মহত্যা না হত্যা- সে রহস্য আজও উদঘাটিত হয়নি। হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিলের তারিখ পরছে একের পর এক।
মৃত্যুর এত বছর পরও তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষদের কাছে সমান জনপ্রিয়। যে মানুষটা বাংলা ছবি দেখা অপছন্দ করেন, সে মানুষটাও সালমান শাহের ভক্ত।
তার মতো অকালে আমাদের দেশেই অনেক নায়কই মারা গিয়েছেন। স্টাইল ও লুকের জন্য আরেক খ্যাতিমান নায়ক জাফর ইকবালও অসুস্থ হয়ে মারা যান। জসীম, মান্না এরা তো নায়ক হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় থাকা অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন। আবার সোহেল চৌধুরী খুন হয়েছিলেন। তাদের এখনও মানুষ স্মরণ করে, ভালোবাসে। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করার জো নেই, সালমান শাহ্ মৃত্যুর আগে যতটা জনপ্রিয় ছিলেন, মৃত্যুতে তার কোন কমতি হয়নি। বরং বেড়েছে।
আসলে মহানায়কদের মৃত্যু হয় না, তারা অমর। সালমানও থাকবেন যুগের পর যুগ। শুভ জন্মদিন বাংলা চলচ্চিত্রের রাজপুত্র সালমান শাহ্।
সারাবাংলা/এজেডএস