জাতীয় পুরস্কারে জমায় শর্ত ভঙ্গ করেনি ‘নীল মুকুট’
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:২৬
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ এর জন্য জমা পড়েছে ১৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, ৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ৬টি প্রামাণ্যচিত্র। জমা পড়া পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিগুলো নিয়ে কথা না উঠলেও অনেকে কথা বলছেন কামার আহমাদ সাইমন পরিচালিত ‘নীল মুকুট’ ছবিটি নিয়ে। চলচ্চিত্র বিষয়ক বিভিন্ন গ্রুপে অনেকে বলছেন, ছবিটি গত বছর মুক্তি পায়নি, তাহলে কীভাবে পুরস্কারের জন্য জমা দিল? তবে সারাবাংলার অনুসন্ধানে তাদের সে অভিযোগের ব্যাপারে জোরালো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সকল শর্ত মেনেই ছবিটি জমা পড়েছে।
সেন্সর বোর্ড থেকে সারাবাংলাকে জানানো হয়েছে, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য ছবি জমা দিতে প্রথম শর্ত হচ্ছে সেন্সর ছাড়পত্র, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে ছবিটি যদি পূর্ণদৈর্ঘ্য হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট বছর সিনেমা হলে মুক্তি পেতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্রের ক্ষেত্রে হলে মুক্তি বাধ্যতামূলক নয়।
গত ২৬ আগস্ট প্রকাশিত ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ এর জন্য আবেদনপত্র আহ্বান’ শীর্ষক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলির ১ (ঘ) ধারায় বলা হয়েছে— জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্র প্রাপ্ত এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, তবে তা ২০২০ সালে সেন্সর সনদপত্র প্রাপ্ত হতে হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য পুরস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বছরে সেন্সর সনদপত্র পেলেই চলবে। সেন্সর বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘নীল মুকুট’ ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি সনদ পেয়েছিল, যার নম্বর ‘বা: প্রা:-০১/২০২০’।
সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, যেহেতু স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্রগুলো সাধারণত সিনেমা হলের বাইরে অন্যান্য জায়গায় বেশি প্রদর্শন করা হয়, সেহেতু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এধরনের ছবিগুলোর ক্ষেত্রে আমরা শুধু সেন্সর সনদ চাই। আর যারা এ ধরনের কথা বলছেন তারা না জেনে কথা বলছেন। ‘নীলমুকুট’সহ সকল ছবিই আইন মেনে জমা দেওয়া হয়েছে।
‘নীল মুকুট’ গত বছরের ২৭ মার্চ সিনেমা হলে মুক্তির কথা ছিলো। পরবর্তীতে সারাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে সে তারিখে আর মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ছবিটি একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ এর জন্য জমা পড়া ১৪ পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাগুলো হলো —বীর, শাহেনশাহ, গোর, একজন মহান নেতা, হলুদ বনি, ঊনপঞ্চাশ বাতাস, গণ্ডি, রূপসা নদীর বাঁকে, আমার মা, চল যাই, জয় নগরের জমিদার, সূবর্ণরেখা, হৃদয় জুড়ে ও বিশ্বসুন্দরী। স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা— কোথায় পাব তারে, আতর, সাদা গোলাপ, ফেরা, আড়ং, দ্য স্কায়ার্স ও আমার বাবার নাম এবং প্রামাণ্যচিত্র —স্বাধীনতার ডাকটিকিট, রথযাত্রার বাকি ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বায়োগ্রাফি অব নজরুল, দ্য ফ্রন্ট পিয়ার্সম্যান ফজলুল হক ও নীলমুকুট।
সারাবাংলা/এজেডএস