Wednesday 29 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ফ্লপ হলেও আবার সিনেমা বানাবো’


৫ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:২৯ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৪৮

তুহিন সাইফুল ।।

অনেক বছর আগে ‘মনপুরা’ নামে একটি নাটক বানাতে চেয়েছিলেন গিয়াস উদ্দীন সেলিম। চিত্রনাট্য লেখার পর তার মনে হলো এই গল্প নাটকের জন্য না, এটি আসলে সিনেমা! যেই ভাবা সেই কাজ। মনের ভেতর কোনও সংকোচ না রেখে ২০০৯ সালে তিনি নির্মাণ করলেন মনপুরা। ট্র্যাজিক প্রেমের গল্পের সেই ছবি দর্শককে গভীরভাবে স্পর্শ করে সে সময়, সোনাই-পরীর প্রণয়ের করুণ পরিণতি দেখে লুকিয়ে চোখ মোছেন বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকেরা।

বিজ্ঞাপন

নন্দিত পরিচালক সেলিম নয় বছর সময় নিয়ে এবার নির্মাণ করলেন তার দ্বিতীয় ছবি ‘স্বপ্নজাল’। সিনেমা নামের এই স্বপ্নের জাল বুণনে এবার তিনি সারথী করেছেন পরীমনি ও ইয়াশ রোহানকে। শুভ্রা ও অপু নামের প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারা। এই ছবিতেও কি চরিত্র দুটিকে পেতে হবে বিয়োগান্তক পরিণতির যন্ত্রণা? প্রশ্নের উত্তরে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘আগে থেকে কিছু বলার নেই। তবে একটা কথা বলতে চাই- মিলনে প্রেমটা ফিঁকে হয়ে যায় আর আসল প্রেম টিকে থাকে বিরহে।’

এই সিনেমায়ও গল্পের বিস্তারে তিনি বিরহকেই বেছে নিয়েছেন ধরে নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়, কেন দৃশ্যনির্মাণে তিনি বিরহকেই বেছে নেন? সেলিম বলেন, ‘কেবল আমি না, গ্রীক স্কুল থেকে শুরু করে শেক্সপিয়ার সবাই বিরহকেই বেছে নিয়েছেন। রোমিও-জুলিয়েট, শিরি-ফরহাদ, লাইলী-মজনু, ইউসুফ-জুলেখা, দেবদাস এর মতো যত প্রেমের কাহিনী আছে সব ট্রাজেডি। ট্রাজেডি বা বিরহ না থাকলে প্রেমের গল্প হয় না।’

বাস্তবতায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া দুটি চরিত্রের নাম অপু আর শুভ্রা। পরস্পরকে ভালবাসে তারা। হঠাৎ বাবা খুন হয়ে গেলে মা আর ছোট ভাইকে নিয়ে দেশান্তরি হয় শুভ্রা। স্বপ্নজাল গল্পে ঠিক এমন একটি গল্পই বলবেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।

বিজ্ঞাপন

ছবিতে শুভ্রা চরিত্রে পরীমনির অভিনয় মুগ্ধ করেছে সেলিমকে। বাণিজ্যিক ধারার সিনেমার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর দ্রুত শেখার ক্ষমতারও প্রসংশা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই পরিচালক। তিনি বলেন, ‘পরীমনি আগে ফর্মূলা সিনেমায় কাজ করেছে। পরীর কাছে নায়িকা মানে সে একটু হাসবে, একটু কাঁদবে, একটু প্রেম করবে, একটু ফাইট করবে, একটু নাচবে এমন। আমি ওকে প্রথমেই বলেছি, চরিত্রটা নায়িকার না, শুভ্রা নামে একটা মেয়েকে তোমার ফুটিয়ে তুলতে হবে।’

শুভ্রা চরিত্রে পরীকে বেছে নেয়ার জন্য অবশ্য বেশ সমালোচনা শুনতে হচ্ছে গিয়াস উদ্দিন সেলিমকে। দুর্জনেরা বলছেন, আলোচনায় থাকার জন্যই স্বপ্নজালে পরীকে নেয়া হয়েছে। সেলিম বলেন, ‘এটা মোটেও সত্য নয়। যে রোলটা যাকে দিয়ে হবে বলে আমি বিশ্বাস করি, তাকেই আমি কাস্ট করি। এটা পরীও হতে পারে, অন্যকেউও হতে পারে। পরীর জনপ্রিয়তার জন্য তাকে নেইনি, তাহলে তো নায়ক হিসেবে ইয়াশকে না নিয়ে শাকিব খানকে নিতাম। আমি চিন্তা করেছি কে সুন্দরভাবে চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে পারবে। ‘শুভ্রা’ চরিত্রে পরীকেই আমার কাছে অবিকল মনে হয়েছে। পরী অভিনয়ও করেছে চমৎকার।’

যে ‘স্বপ্নজাল’ নিয়ে এতো আলোচনা, এতো অপেক্ষা সেই ছবি যদি ফ্লপ হয় মন খারাপ হবে না? গিয়াস উদ্দিন সেলিম মৃদু হাসলেন। ‘সিনেমা ফ্লপ হতেই পারে। হিট-ফ্লপ সবই আসলে অডিয়েন্সের হাতে। অডিয়েন্স দেখে যদি ছবিটা পছন্দ করে তবে হিট হবে, পছন্দ না করলে ফ্লপ। এতে আমার থেমে যাওয়ার কিছু নেই। আমি আমার কাজ করে যাবো। ফ্লপ হলেও আবার সিনেমা বানাবো।’

ছবি: আশীষ সেনগুপ্ত

সারাবাংলা/টিএস/পিএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর