মাহি বললেন— ভাষা ছিল না, প্রতিমন্ত্রী ‘রেজাল্ট’ পেয়েছেন
৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:০৫
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মাহি। প্রতিমন্ত্রীকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ ভাষা ব্যবহার করতে শোনা যাওয়া ওই ফোনালাপ প্রসঙ্গে মাহি বলছেন, বছর দুয়েক আগের সেই ঘটনায় তিনি ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন। পরিস্থিতির শিকার ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ওই সময় প্রতিমন্ত্রীকে বলার মতো কোনো ভাষা তার ছিল না।
এরই মধ্যে ফাঁস হওয়া এই ফোনালাপ এবং এর আগে ফেসবুক লাইভে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে ‘অশালীন’ বক্তব্য দেওয়ার জের ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে। মাহি বলছেন, প্রতিমন্ত্রী এর মাধ্যমে ‘রেজাল্ট’ পেয়েছেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফোনালাপের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় রোববার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে। ওই ফোনালাপে প্রতিমন্ত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়। যৌন সহিংস কথাবার্তাও বলেন তিনি। এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়।
ওই ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা নিয়ে এরই মধ্যে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন চিত্রনায়ক ইমন। এবারে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে যাওয়া মাহিয়া মাহিও সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে একটি ভিডিওবার্তা দিয়েছেন।
ভিডিওবার্তায় মাহি বলেন, ‘আমি এখন হারাম শরিফে আছি। ওমরাহ পালনের জন্য এসেছি। সে জন্য খুব একটা ফোনকল রিসিভ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফোন তেমন একটা হাতেও রাখছি না। ইবাদত করতে এসেছি, ইবাদতটা ঠিকমতো করতে চাই।’
‘আমি যেটা বলার জন্য ভিডিওটা করছি, নিজের আত্মসম্মানবোধে কতটুকু আঘাত লেগেছিল সেটা শুধু আমি জানি আর আমার আল্লাহ্ জানেন। আজও আমি ভীষণভাবে বিব্রত। আরও একবার নিজের কাছে নিজে তো ছোট হয়েছি, দেশবাসীর কাছেও ছোট হলাম,’— বলেন মাহি।
বছর দুয়েক আগের ওই ফোনালাপের সময় নিজের কিছু বলার ছিল না বলেই চুপ ছিলেন বলে জানান মাহি। বলেন, আপনারা চিন্তা করে দেখবেন, এ ভাষার বা ব্যবহারের প্রত্যুত্তর আমার আসলে কী দেওয়া উচিত ছিল? আদৌ কিছু বলার ভাষা আমার সেদিন ছিল না। সেজন্য কোনো প্রতিবাদ করিনি। আমার মনে হয়েছিল, নিজের মতো করে পাশ কাটিয়ে যাওয়া উচিত, পাশ কাটিয়েছি। চুপ থেকেছি।
তিনি বলেন, এটা ঠিক দুই বছর আগের একটি ঘটনা ছিল। বরাবরের মতো আমি আল্লাহ্র কাছে বলেছি, আল্লাহ্ আমি কষ্ট পেয়েছি। যার মাধ্যমে কষ্টটা পেয়েছি, কোনো না কোনো মাধ্যমে তিনি তার রেজাল্টটা পেয়েছেন। এটি প্রমাণিত। আলহামদুলিল্লাহ্।
মাহি তার ভিডিওবার্তায় সবশেষে বলেন, ‘আল্লাহ্ স্বাক্ষী, আমার কোনো দোষ ছিল না। আমি পরিস্থিতির শিকার ছিলাম।’
সারাবাংলা/এজেডএস/টিআর