Wednesday 16 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিনেমা হলে ঋণ সুবিধা বেড়ে ১০ কোটি

আহমেদ জামান শিমুল
১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:৫৬

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জানা যায় সিনেমা হলের জন্য সরকারের তরফ থেকে তহবিল আসছে। সে বছরের ৫ অক্টোবর তথ্যমন্ত্রী জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। যার পরিমাণ ১ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তহবিল গঠনের কথা জানায়। যেখানে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা জানানো হয়, ৫ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সীমা বাড়িয়ে করেছে ১০ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটিতে বলা হয়, ১৪ ফেব্রুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপনের ৪ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিলো, কোনো সিনেমা হলের বিপরীতে ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি হবে না। ঋণের সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য আগের প্রজ্ঞাপনের ৪ নং অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন করা হলো।

৯ ডিসেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন সিনেমা হল নির্মাণ এবং বিদ্যমান সিনেমা হল সংস্কার ও আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে অত্র স্কীমের আওতায় সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে।

একই ভবনে একটি কোম্পানী/ব্যক্তি মালিকানাধীন (একক বা যৌথভাবে) সিনেপ্লেক্স যতসংখ্যক ক্লিনবিশিষ্ট হোক না কেন তা আলোচ্য পুনঃঅর্থায়ন স্কীমের আওতায় ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে “একটি ইউনিট” হিসেবে বিবেচিত হবে। এরূপ নতুন “একটি ইউনিট” স্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা এবং বিদ্যমান “একটি ইউনিট” সংস্কারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা প্রাপ্য হবে।

তবে ঋণ প্রদানের পূর্বে যাচিত ঋণ চাহিদার বিষয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক পর্যালোচনাস্তে নিশ্চিত হতে হবে। ঋণ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি সিনেমা হল/সিনেপ্লেক্স এর আসন সংখ্যা ন্যূনতম ১০০ হতে হবে।

ভাড়াকৃত/ইজারাকৃত স্থাপনায় বিদ্যমান/নির্মিতব্য সিনেমা হল/সিনেপ্লেক্স এর মালিকপক্ষের সাথে ভবন মালিকের ভাড়া/ইজারা চুক্তির মেয়াদ প্রদেয় ঋণ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত মেয়াদের চেয়ে কমপক্ষে ৫ বছর বেশি হতে হবে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ১৪ ফেব্রুয়ারির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১ হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে দেওয়া হবে ৫০০ কোটি টাকা। এ টাকা সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হবার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০০ কোটি বিতরণযোগ্য হবে বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

মেট্রোপলিটন এলাকায় সুদের হার হবে ৫ শতাংশ এবং এর বাইরের শহরে এর পরিমাণ হবে সাড়ে ৪ শতাংশ।

ঋণের পরিশোধের মেয়াদ আট বছর। গ্রহিতা প্রথম এক বছর গ্রেড পিরিয়ড হিসেবে পাবেন অর্থাৎ প্রথম বছর তাকে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হবে না। বাকি সাত বছরে সুদসহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধার জন্য আবেদন করা যাবে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও এতদসংশ্লিষ্ট মেশিনারি/যন্ত্রাংশ/প্রযুক্তি ক্রয় এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ ব্যতীত অন্য কোন খাতে ব্যবহৃত হলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সে পরিমাণ অর্থের উপর নির্ধারিত সুদ/মুনাফা হারের অতিরিক্ত দুই শতাংশ অর্থ সুদ/মুনাফাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছ থেকে এককালীন আদায় করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এ প্রজ্ঞাপনকে স্বাগত জানিয়েছে সিনেমা হল মালিকদের সংগঠন ‘চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি’। সমিতির নেতারা সারাবাংলাকে বলেছেন, আমরা সরকারের কাছে বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলাম ঋণ সীমা ১০ কোটি করতে। আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরও দুটি দাবি ছিলো এ ঋণের ব্যাপারে। এক. সুদের হার সাড়ে ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ করা। দুই. ঋণ পরিশোধের সময় ৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর করা। এ দাবিগুলোও সরকার বিবেচনা করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

এদিকে প্রযোজক সমিতির নেতা জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, সিনেমা হল মালিকদের সুবিধার্থে এক শ থেকে দুই শ আসনের সিনেপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ‘প্রজেক্ট প্রোফাইল’ প্রযোজক ও  পরিবেশক সমিতি উদ্যোগ নিয়ে তৈরি করেছে। আগ্রহীরা সমিতির বিএফডিসিতে অবস্থিত বিশ্রাম কক্ষ কিংবা সমিতির অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

সারাবাংলা/এজেডএস

ঋণ সুবিধা টপ নিউজ প্রজ্ঞাপন বাংলাদেশ ব্যাংক সিনেমা হল

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর