নারায়ণগঞ্জে চলছে ‘কালবেলা’
১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:২৯
সাইদুল আনাম টুটুল ২০১৮ সালে শুরু করেছিলেন ‘কালবেলা’। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবিটির শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরেছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ সম্পাদক ও বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা। কিন্তু ১৮ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরা দেশে চলে যান তিনি। তখন ছবিটি নিয়ে কিছুটা অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়। কিন্তু সকল আশঙ্কা কাটিয়ে ছবিটি গত ১০ ডিসেম্বরে মুক্তি পায়। এ সপ্তাহে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে সিনেস্কোপ সিনেপ্লেক্সে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে সরকারি অনুদান পায় ‘কালকেলা’। শুটিং শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। পুরো অক্টোবর-নভেম্বর মাস শুটিং হয় খুলনা ও কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
সাইদুল আনাম টুটুলের মৃত্যুর পর ২০১৯-এ চলচ্চিত্রটির প্রযােজক ও তার সহধর্মিনী অধ্যাপক মােবাশ্বেরা খানমের নেতৃত্বে শুরু হয় ‘কালবেলা’র অসমাপ্ত কাজ। তারা ২০২০-এ এসে ছবিটির সকল কাজ শেষ করেন। তখন দেশে করোনা মহামারী দেখা দিলে ছবিটির মুক্তি আটকে যায়।
‘কালবেলা’ ১৯৭-এ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে একজন নারীর সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে নির্মিত। এই চলচ্চিত্রে উঠে আসবে যুদ্ধকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের আশ্রয়ের সন্ধানে অনিশ্চিত যাত্রা, অবরুদ্ধ শহরে কর্মজীবীদের বিপন্নতা, বিহারি ও
পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম নৃশংসতা এবং যুদ্ধকালীন সামাজিক অস্থিরতা।
ছবিটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাহমিনা অথৈ এবং শিশির আহমেদ। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন মাসুম বাশার, মিলি বাশার, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, লুৎফর রহমান জর্জ, শেখ মাহবুবুর রহমান, সায়কা আহমেদ, জুলফিকার চঞ্চল, কোহিনূর আলম, তানভীর মাসুদ প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ করেছেন রিপন রহমান খান। সম্পাদনা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সামির আহমেদ। ছবিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ফরিদ আহমেদ। যিনি করােনা আক্রান্ত হয়ে এ বছরের ১৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
সারাবাংলা/এজেডএস