শিল্পী ইনস্টিটিউট করার প্রতিশ্রুতি দিল কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ
২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:৩৪
আগামী ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সে উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ। সেখানে তারা শিল্পীদের প্রশিক্ষণের জন্য ইনস্টিটিউট করার প্রতিশ্রুতিসহ বেশ কিছু অঙ্গীকার করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি কনভেশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের পরিচিতি সভা। সেখানে সভাপতি পদপ্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ করেন।
সেখানে তারা জানান, নির্বাচনে জয় লাভ করলে সবার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এফডিসিতে আনার ব্যবস্থা করবেন। এরপর তার সম্প্রতি ঘোষিত ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২১’- অনুযায়ী অসুস্থ ও আর্থিক সমস্যায় থাকা শিল্পীদের সহায়তার ব্যবস্থা করবেন।
অন্যায়ভাবে যে শিল্পীদের সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাদের সদস্যপদ ফেরত দেওয়া হবে। এমন ব্যবস্থা করা হবে যাতে কেউ একবার সদস্য হলেও তার পদ বাতিল না হয়। তবে এক্ষেত্রে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, কেউ যদি রাষ্ট্রবিরোধী অথবা সংগঠনবিরোধী গুরুতর অপরাধ করেন তাহলে স্থগিত বা বাতিল হতে পারে। তবে তা সকল সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতিতে সভা করা হবে।
বিদেশের বিভিন্ন শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠনের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা হবে। এর মাধ্যমে বিদেশের ছবিতে দেশীয় শিল্পীদের কাজের ব্যবস্থা করা হবে।
অভিনয়শিল্পীদের জন্য শিল্পী ইনস্টিটিউট করা হবে। যেখানে তারা অভিনয় বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স করতে পারবে। নৃত্যশিল্পীদের নৃত্য ইনস্টিটিউট করা হবে। সবার জন্য জিম করা হবে।
সিনিয়র শিল্পীদের সহায়তায় দেশ-বিদেশে চলচ্চিত্র নিয়ে সভা-সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে।
বিভিন্ন সংস্কৃতিবিষয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে চলচ্চিত্র শিল্পীদের উপস্থিতির ব্যবস্থা করা হবে।
ইশতেহার ঘোষণার আগের বক্তব্যে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, শিল্পী সমিতি কি রোহিঙ্গা ক্যাম্প হয়ে গেছে? আমার স্বাধীন দেশের নাগরিক, আমরা শিল্পী, আমরা এখানে সম্মানের সাথে থাকবো।
সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী রিয়াজ বলেন, এফডিসিতে অহংকার চলে না, যে করে তার পতন হয়। আমাকে নানাভাবে ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। বলছে, এফডিসিতে গেলে লাশ পড়বে।
সহ-সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেন, তাদের পরিষদ নির্বাচিত হলে পরিষদ থেকেই বছরে ৭টি ছবি নির্মাণ করা হবে।
সারাবাংলা/এজেডএস