Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরলপুর ব্যান্ডের চৌর্যবৃত্তি, ‘যুবতী রাধে’ গানটির কপিরাইট বাতিল

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট
২৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৪৫

‘সর্বত মঙ্গল রাধে’- ২০২০ সালে মেহের আফরোজ শাওন ও চঞ্চল চৌধুরীর কণ্ঠে এই গানটি দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পায়। আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও পার্থ বড়ুয়ার সংগীত পরিচালনায় গানটি প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া পড়ে। কিন্তু মুক্তির পরপরই গানের মালিকানা নিয়ে শুরু হয় নতুন বিতর্ক। এই গানটিকে নিজেদের গান বলে দাবি করে ‘সরলপুর’ ব্যান্ড। সেই সময় তারা জানায় ২০১৮ সালেই গানটির জন্য কপিরাইট নিয়েছে ‘সরলপুর’। ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ভোকালিস্ট ও গিটারিস্ট তারিকুল ইসলাম তপনকে ‘যুবতী রাধে’ গানের গীতিকার ও সুরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল কপিরাইট অফিস। যার ফলে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে তারা। যা নিয়ে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।

বিজ্ঞাপন

পরে এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে কপিরাইট অফিস বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শেষে তারা জানিয়েছে ‘সরলপুর’-এর দাবির কোনো সতত্যা নেই। কপিরাইট রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চৌর্যবৃত্তির অপরাধে সরলপুরের নেওয়া ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’র কাপিরাইট বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, অন্যের গান মৌলিক দাবি করে কপিরাইট নেওয়ায় ‘সরলপুর’ কপিরাইট আইনের ৮৮ ও ৮৯ ধারা ভঙ্গ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ও জেলের বিধানও ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে যেহেতু কেউ দাবি জানায়নি। তাই কপিরাইট অফিস ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্লেখ্য, কপিরাইট আইন ভাঙলে সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা ও সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল ও সর্বনিম্ন ছয় মাসের জেলের বিধান রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলা একাডেমি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগ থেকে তথ্য সংগ্রহের কথা জানিয়ে বুধবার রাতে কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী সংবাদমাধ্যমে আরও জানান, প্রতিটি বিভাগ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, গানটিতে ময়মনসিংহ গীতিকার জনপ্রিয় গান থেকে হুবহু বেশ কয়েকটি লাইন কপি করা হয়েছে। বিমল কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত ‘গ্রামের ছড়া’ বইটির একটি ছড়া থেকেও প্রমাণিত হয়েছে যে, সরলপুর ব্যান্ড ‘যুবতী রাধে’ গানের ৩২টি লাইনের মধ্যে ১২টি লাইন হুবহু কপি করেছে। বাকি ৫টি লাইনে এমন কিছু শব্দ তারা যোগ করেছে, যা ওই আসল গানটির ভাব ও অর্থের সঙ্গে মিলে যায়। আশুতোষ মুখার্জি রচিত একটি বইয়েও ‘তুমি হও যমুনা রাধে’ গানের সঙ্গেও ‘যুবতী রাধে’ গানের মিল পাওয়া যায়।

এর আগে, লোকসংগীত গবেষক সাইমন জাকারিয়া তথ্য-প্রমাণসহ এক ভিডিও বার্তায় দেখিয়ে দেন, ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ আসলে ময়মনসিংহ গীতিকা থেকে নেওয়া। তবে কপিরাইট বাতিল প্রসঙ্গে ‘সরলপুর’ ব্যান্ডের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সারাবাংলা/এএসজি

চঞ্চল চৌধুরী মেহের আফরোজ শাওন যুবতী রাধে সরলপুর

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর