সহিদ ভাইকে পুরস্কারটা উৎসর্গ করতে চাই: সিয়াম
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:০৭
এ প্রজন্মের জনপ্রিয় নায়ক সিয়াম আহমেদ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ এ ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা’ হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন। চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির জন্য এ প্রাপ্তি তার। প্রথমবারের মতো এ স্বীকৃতিপ্রাপ্তির মুহূর্তে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানালেন সারাবাংলার সিনিয়র নিউজরুম এডিটর আহমেদ জামান শিমুলের কাছে
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাওয়ার খবর প্রথম কীভাবে পেলেন?
সিয়াম: হঠাৎ করে অনেক মেসেজ পাচ্ছিলাম। সবাই একটাই মেসেজ দিচ্ছিল— কনগ্রেচুলেশন! ভাবলাম, কিছু হলো নাকি। তারপর দুয়েকটি পোস্টে ট্যাগ করা দেখতে পেলাম। এরপর শুরু হলো ফোন কল। এভাবে আস্তে আস্তে জানতাম পারলাম।
আমার বন্ধুরা সবাই মিলে ভিডিও কল দিয়েছিল। তানিম, সাফা কবির, সুনেরাহ, টয়া— ওরা ওদের ক্যাম্পেইনে ছিল। ওরা ভিডিও কল দিয়ে কনফার্ম করল।
পুরস্কারটি কাউকে উৎসর্গ করতে চান কি না?
সিয়াম: আমাদের টিমের কোরিওগ্রাফার সহিদ ভাইকে (প্রয়াত সহিদুর রহমান) পুরস্কারটা উৎসর্গ করতে চাই (‘বিশ্বসুন্দরী’র ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটির জন্য ‘শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক’ পুরস্কার পাচ্ছেন সহিদুর রহমান)। জাতীয় পুরস্কার নিয়ে উনি অনেক বেশি আগ্রহী ছিলেন, অনেক উৎসাহ দিয়েছিলেন আমাকে। এবার সহিদ ভাইও পুরস্কার পাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেই পুরস্কার পাওয়ার খবরটিও তিনি জেনে যেতে পারলেন না। গত বছর তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। জাতীয় পুরস্কার জয়ের আনন্দের মধ্যেও এটি ভীষণ বেদনার কথা। তারপরও তার পুরস্কারপ্রাপ্তির খবরটি আনন্দের। তার পরিবার এখন গর্ব করে বলতে পারবে, তাদের ছেলে কিছু করতে পেরেছে।
‘বিশ্বসুন্দরী’তে অভিনয়ের সময় কি ভেবেছিলেন পুরস্কার পাবেন?
সিয়াম: একদম না। দায়িত্ববোধের একটি জায়গা ছিল, কাজটি যেন ঠিকমতো করতে পারি। সেই কাজটি সহজ হয়েছিল পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর জন্য। অবশ্যই তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ডিওপি খায়ের খন্দকারকেও ধন্যবাদ দিতে হবে। বিশ্বসুন্দরীতে আমার সবচেয়ে বড় রসায়ন ছিল মায়ের সঙ্গে— চম্পা ম্যাডামের সঙ্গে। তাকে আমার অন্তরের অন্তঃস্তল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। উনি না থাকলে, এত সহজ না করে দিলে হয়তো আমাদের পারফরম্যান্সটা এত সুন্দর হতো না। তিনি আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দিয়েছেন।
যেকোনো পুরস্কারই শিল্পীর দায়িত্বের জায়গাটি বাড়িয়ে দেয়। আপনি কি দায়িত্বের চাপে পড়ে যাবেন নাকি সেটি সামলে নিয়ে ক্যারিয়ারকে আরও উজ্জ্বলতর জায়গায় নিয়ে যাবেন?
সিয়াম: খুব বেশি দিন হয়নি কাজ করছি। আমার কাছে মনে হয় পুরো পথ চলাই এখনো বাকি। সেই পথচলা সঠিক নির্দেশনায়, সবাইকে নিয়ে হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ— যেটি আমাদের সবার লক্ষ্য থাকে। একটি ভালো কাজ করার সঙ্গে শুধু আপনার ইনটেনশন জড়িত না, ভালো কাজের জন্য পুরো টিমকে একসঙ্গে দৌড়াতে হয়। আমি চেষ্টা করব একা না দৌড়ে আমার টিম মেম্বারদের নিয়ে যেন সেই পথ পাড়ি দিতে পারি। এবং অবশ্যই সেটি সততার সঙ্গে করতে চাই।
পুরস্কারপ্রাপ্তি তাৎক্ষণিক কিভাবে উদযাপন করছেন?
সিয়াম: কোনোভাবেই উদযাপন করছি না। আমি শুধু আমার পরিবারের চেহারার দিকে তাকিয়ে আছি। তাদের মুখের দিতে তাকাতেই শান্তি লাগছে। আমার মনে হয় এটিই আমার আজকের সবচেয়ে বড় উদযাপন। তাদের মুখের যে হাসি, সেটি পুরস্কারের মতোই অনেক বড় একটি অর্জন।
আপনার স্ত্রী ও পরিবারের প্রতিক্রিয়া কী?
সিয়াম: অবন্তী খুবই উত্তেজিত। ওকে তো থামানোই যাচ্ছে না। একটু আগে আমি তাকে বললাম, একটু বিশ্রাম নাও। আমার বাবা ও অবন্তী যেভাবে খুশি হয় বা হয়েছে, এর সঙ্গে অন্য কোনো কিছুরই তুলনা হয় না।
সারাবাংলা/এজেডএস