‘সখি চলনা জলসাঘরে’ গানটি ‘ঘুড্ডি’র জন্য তৈরি ছিলো না
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:১০
সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’ বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক অনন্য সৃষ্টি। সে ছবিতে সদ্য প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা ‘সখি চলনা জলসাঘরে’ গানটি ব্যবহৃত হয়েছিলো। লাকী আখন্দের সুরে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সৈয়দ আবদুল হাদী। সারাবাংলার কাছে গানটি নিয়ে স্মৃতি চারণে জানালেন গানটি ‘ঘুড্ডি’র জন্য তৈরি করা হয়নি।
সৈয়দ আবদুল হাদী জানান, তার সঙ্গে লাকী আখন্দের সঙ্গে আশির দশকের শেষের দিকে অন্য একটি গান নিয়ে কথা চলছিলো। সে গানটি দেশের একমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভির একটা অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হচ্ছিলো। গানটির রেকর্ডিংয়ে এসে শুনলেন ভিন্ন কথা।
‘অন্য একটা গানের প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম। স্টুডিওতে যাওয়ার পর লাকী আখন্দ বললো, না আরও ভালো একটা গান পেয়েছি, কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা, ওটা করবো। তখনই স্টুডিওতে গানটার সুর ও সংগীত করা হলো। রেকর্ডিং করা হলো’,— বলেন সৈয়দ আবদুল হাদী।
তিনি জানালেন, টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য বানানো গানটি পরবর্তীতে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী তার বিখ্যাত ‘ঘুড্ডি’ ছবিতে ব্যবহার করেন। ছবিতে গানটির দৃশ্যায়নে অংশ নেন রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুবর্ণা মোস্তফা।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে তিন দশকের বেশি পরিচয় সৈয়দ আবদুল হাদীর। দীর্ঘ এ সময়ে অনেক স্মৃতিই তার সঙ্গে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সারাবাংলার কাছ থেকে প্রথম কাওসার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর খবরটি শুনেন সৈয়দ আবদুল হাদী।
খবরটি শোনার পর কিছুক্ষণ নিরব ছিলেন। ফোনের ওপারে দীর্ঘ ফেলে জিজ্ঞেস করেন, করোনা হয়েছিলো নাকি? উত্তর শুনে বলেন, ‘করোনা তো আমাদের অনেককেই নিয়ে যাচ্ছে। কয়দিন পর পর মৃত্যুর খবর!’
‘ওর সঙ্গে অনেক স্মৃতিই মনে পড়ে, কোনটা রেখে কোনটা বলি। বহু বছর আগের পরিচয়। মাঝখানে অবশ্য কাজ হতো না। কিন্তু অত্যন্ত রুচিশীল ও পরিচ্ছন্ন একজন মানুষ ছিলেন। ওর যে গানটা গেয়েছি সে গানটার কথা মনে হচ্ছে বার বার। গানের সুরকারও চলে গেল, ও চলে গেলো’,— স্মৃতিচারণ করেন সৈয়দ আবদুল হাদী।
সারাবাংলা/এজেডএস