হলিউডের কাউকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি: মেহজাবীন
৮ মার্চ ২০২২ ১৯:০৭
টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর ওটিটি যাত্রা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। এবার তিনি অভিনয় করেছেন আশফাক নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’-য়। সিরিজটির টিজার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সারাবাংলার সিনিয়র নিউজরুম এডিটর আহমেদ জামান শিমুলের মুখোমুখি হয়েছেন মেহজাবীন।
আশফাক নিপুণের সঙ্গে নাটকে কাজ করেছেন। এবার করলেন ওয়েব সিরিজে। পরিচালক হিসেবে তার সঙ্গে এবারে জার্নিটা কেমন ছিলো?
আমি তো সবসময় বলি বাংলাদেশে যদি তিনজন পরিচালকের নাম বলতে বলা হয় তাহলে তার নাম বলতে হবে। ওনার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সবসময় ভিন্ন হয়। ভিন্ন বলতে ভিন্ন ধরণের গল্পে কাজ করা হয়। আমাকে যে-ই ভালো গল্প দিতে পারে তার প্রতি সবসময় সহানুভূতি কাজ করে। সে জায়গাতে আশফাক নিপুণ অবশ্যই একশতে একশ।
আর ভালো কাজের জন্য ভালো বাজেট দিতে হয়। আর বাজেট ভালো থাকলে কাজটা আরামে করা যায়। যদিও আমরা খুব একটা আরামে কাজটা করতে পারিনি। আমাদের যে ডেডলাইনের পিছনে দৌঁড়াতে হয়, তা না হলে হয়তো কাজটা আরও ভালো করে করা যেত।
এবার যেহেতু বড় পরিসরে কাজটা হয়েছে তাই বেশ ভালো পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি তার মাঝে। আমি সবসময় টিমওয়ার্কে বিশ্বাস করি। বেশ দারুণ ছিলো পুরো ব্যাপারটা।
নাটকের পরে ওটিটিতে কাজ করলেন। বড় পর্দায় কবে দেখতে পাবো?
আমি মাধ্যমের থেকে ভালো গল্প করতে বেশি পছন্দ করি। আজ থেকে দশ-বারো বছর আগেও জানতাম না, অভিনয় করবো। কিন্তু আজকে এ পর্যায়ে চলে আসছি, আপনাদের দোয়ায়, ভালোবাসায়। অভিনয়টা পেশা হিসেবে নিতে পেরেছি। বিশ ত্রিশ বছর আগেও পারা যেত না। সাথে অন্য আরও কাজ করা লাগত। সে সুযোগটা, সময়টা চলে এসেছে। আমরা ভাগ্যবান। সে জায়গা থেকে ভালো গল্প হোক না কেন, আমি থাকতে চাই। আমি মাধ্যমটা অতটা গুরুত্ব দিতে চাই না। আমি যদি বড় পর্দার পিছনে দৌড়াই, তাহলে টিভির ভালো গল্পের কাজ ছুটে যাবে। যখন সময় হবে তখন আমি বড় পর্দায়ও কাজ করতে পারি। হ্যাঁ, তার জন্য ভালো গল্প আসতে হবে। আমার মনে হয়, বড় পর্দায় কাজ করার চাইতে, বড় পর্দায় ভালো গল্পে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।
ওটিটিতে আমি অনেক দিন ধরে কাজ করছিলাম না, আমার সঙ্গের অনেকেই করে ফেলেছেন। আমি সময় নিচ্ছিলাম। কারণ, আমি চাচ্ছিলাম এখানে আমার অভিষেকটা খুব ভালোভাবে হোক। আমার চরিত্রটা মানুষ মনে রাখুক। সে চেষ্টায় আমি সবকিছুই ধীরে সুস্থে করি। কিন্তু যখনই করি তখন চেষ্টা করি একশভাগ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করার।
ওটিটির দর্শক এখনও তৈরি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ‘রেডরাম’-এ কি প্রত্যাশিত সাড়া পেয়েছেন?
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো। সবাই সারাদিন কাজ করে বাসায় গিয়ে হালকা কিছু দেখতে পছন্দ করে। আমিও এমনটা করি। কমেডি, রোমান্টিক কমেডি এটার দর্শকশ্রেণি আগে থেকে তৈরি করা আছে। সামন্থিং স্লো বার্ন, সামন্থিং ডার্ক, হেভি— যেটা দেখে মাথা বা মেধা খরচ করতে হবে, সে জিনিসটা আমরা খুব একটা দেখতে পছন্দ করি না। আমরা সবসময় বিনোদন চাই। ভিন্নধরনের বিনোদনের প্রতি মানুষ ঝুঁকছে, এটা আমি পজিটিভ মনে করি। এখন ওটিটিগুলো আসছে, তারা সুযোগ দিচ্ছে। পরিচালকরা চেষ্টা করছেন। যে কোন জিনিস একটা জায়গায় যেতে দশটা বছর সময় দিতে হয়, তারপর প্রশ্ন করা উচিত। সেটা ব্যবসা কিংবা ক্যারিয়ার হোক।
যেভাবে আপনাদের কাজের সিডিউল থাকে, তাতে করে দ্রুত এক চরিত্র থেকে আরেক চরিত্রে মানিয়ে নেন কিভাবে?
পর্দায় দেখে কি মনে হয়? আমার মনে হয় একেকজনের একেক ধরণের কৌশল থাকে। এখন ওপেনলি শেয়ার করতে পারবো না। কিভাবে আমরা শিল্পীরা, শুধু আমি না সবাই— আমাদের প্রেক্ষাপটে ২-৩ দিনে একটা নাটকের শুটিং করে পরেরদিন আরেকটায় ঢুকে যেতে হয়…। আমি তো সব সময় বলি আমাদের মতো পরিশ্রমী শিল্পী পৃথিবীর কোথাও নেই। এ জায়গায় আমরা হলিউডের কাউকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি। আমি বলবো আমরা অনেক পরিশ্রমী। এ কারণে আমরা হয়তো অনেকটাই সফল।
সারাবাংলা/এজেডএস