স্বাধীনতা দিবসে দেখে ফেলতে পারেন যে সিনেমাগুলো
২৫ মার্চ ২০২২ ১৪:১০
বিশেষ দিন কিংবা দিবস, চরকি সবসময় নানা আয়োজন নিয়ে দর্শকদের সামনে আসে। এবার স্বাধীনতা দিবসেও এর ব্যতিক্রম হবে না। এই ছুটিতে দেখে ফেলতে পারেন চরকিতে থাকা দেশাল ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কিছু সিনেমা ও সিরিজ।
গত বছর ডিসেম্বর চরকি মুক্তি দিয়েছিল ‘জাগো বাহে’ নামে একটি অ্যান্থলজি সিরিজ। সেই সিরিজিরের তিনটি পর্বে দেখা গেছে ভাষা আন্দোলন, ৭০ ও ৭১’এর প্রেক্ষাপট। শব্দের খোয়াব, লাইট ক্যামেরা অবজেকশন ও বাংকার বয় নামে সিরিজগুলো পরিচালনা করেছেন সিদ্দিক আহমেদ, সালেহ সোবহান অনীম ও সুকর্ণ ধীমান। স্বাধীনতার এই দিনে দেখে ফেলতে পারেন চমৎকার এই সিরিজটি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর অমর জীবনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে প্রথম বাংলাদেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘মুজিব আমার পিতা’। এতে উঠে এসেছে বাংলাদেশের জাতির জনকের জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ কিছু ঘটনা। সোহেল মোহাম্মদ রানা পরিচালিত ‘মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেটেড ফিল্মটি দেখে ফেলতে পারেন চরকিতে।
নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত গেরিলা মুক্তি পায় ২০১১ সালে। সিনেমাটি সেবছর সর্বোচ্চ ১০টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করে। এছাড়া চলচ্চিত্রটি ২০১১ সালে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতে নেয়। জয়া আহসান অভিনীত এই সিনেমাটি চাইলেই চরকিতে দেখ নিতে পারেন।
খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম ২০০৬ সালে নির্মাণ করেন ‘খেলাঘর’। এটি মূলত মাহমুদুল হকের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাহিনীর ‘খেলাঘর’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই ছবি। ছবিতে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, সোহানা সাবা, আরমান পারভেজ মুরাদ, গাজী রাকায়েত, আবুল হায়াত।
‘আগামী’মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত ১৯৮৪ সালের বাংলাদেশী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন মোরশেদুল ইসলাম নিজেই। এখানে দেখা যাবে পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফাহমিদা পারভীন মিঠু, আলী যাকের, মুজিবুর রহমান দিলু ও রওশন জামিল প্রমুখ।
আরও দেখে নিতে পারেন হুমায়ূন আহমেদের পদ্ম, নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত আলোর মিছিল, সাইদুল আনাম টুটুলের আধিয়ার।
সারাবাংলা/এজেডএস