প্রথমবারের মতো আফজাল-চঞ্চল
১৩ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১৫
হরর ঘরানার ৪টি ভিন্ন গল্প নিয়ে নুহাশ হুমায়ূন নির্মাণ করেছেন অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘ষ’। মুখে মুখে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এই অ্যান্থোলজি সিরিজ। মিষ্টি জিনিষ যে জ্বিন পছন্দ করে এই প্রচলিত লোককথা থেকে ‘ষ’ এর দ্বিতীয় এপিসোড ‘মিষ্টি কিছু’। পর্বটির মধ্য দিয়ে প্রথমবারের স্ক্রিন শেয়ার করেছেন আফজাল হোসেন ও চঞ্চল চৌধুরী।
এটি নুহাশ হুমায়ূনের তৈরি প্রথম ওয়েব সিরিজ। এরই মধ্যে পেট কাটা ‘ষ’-এর পোস্টার, ট্রেইলার ও প্রথম পর্ব ‘এই Building এ মেয়ে নিষেধ’ নিয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সদ্য মিষ্টির দোকানে চাকরি পাওয়া নিরাশ, সংসারী ভদ্রলোকের দেখা হয় এক নিশাচার ক্রেতার সাথে। গভীর রাতের সেই ক্রেতা কথা দেয়, মজার মজার মিষ্টির বদলে তাকে একটি বর দিবেন। তাই-ই দেয়। লোকটা অবাক হয়ে একে একে ইচ্ছাপূরণ হওয়া দেখে। সে বোঝে, মনের সাধগুলো নিয়ে হুশিয়ার হতে হবে। কিন্তু তারপর কি হয়? তা জানতেই দেখতে হবে ‘মিষ্টি কিছু’।
৪ পর্বের তারকাবহুল এ সিরিজের এই পর্বে মূল ভূমিকায় বহুদিন পর দেখা যাবে আফজাল হোসেন ও চঞ্চল চৌধুরীকে। সেই সাথে দেখা যাবে কাজী নওশাবা আহমেদ, খালেদ আহমেদ রুমি, মোমো আলি, মায়মুনা ইসলাম মেধা, মোহনা হোসেনসহ অনেককেই।
এই প্রথমবারের মতো আফজাল হোসেনের সঙ্গে একই স্ক্রিন শেয়ার করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আফজাল ভাইয়ের সাথে এক ফ্রেম শেয়ার করার আনন্দ কথায় বর্ণনা করে বোঝানো কঠিন। আফজাল ভাই, প্রিয় একজন মানুষ সেই সাথে প্রিয় অভিনেতা। তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটাও ছিল দারুণ।’
ভিন্নধর্মী এমন কনটেন্টে কাজ করে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আফজাল হোসেন নিজেও। তিনি বলেন, ‘পেট কাটা ‘ষ’-তে যে গল্পগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো কম বেশি আমাদের সবার শোনা। কিন্তু গল্পগুলো যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তার ধরন একদম নতুন। নুহাশের মতো তরুণ এক যুবক এমন অসাধারণ কনটেন্ট নিয়ে কাজ করেছে সেজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে চরকিকে ধন্যবাদ এমন অভিনব প্লটের গল্প দর্শকদের দেখানোর সুযোগ করার কারণে। আর হ্যাঁ, মিষ্টি কিছু কিন্তু মোটেও মিষ্টি নয়।’
পরিচালক নুহাশ বলেন, ‘কিছু বাংলা ভূতের গল্প আছে আমাদের সবার শোনা। মাছ রাঁধলে পেত্নী আসে, মিষ্টির দোকানে রাতে জ্বীন আসে, নিশির ডাক শুনতে নেই, খোলা চুলে সন্ধ্যায় বের হতে নেই। এইসব ক্লাসিক বাংলা ভূতের গল্প কিন্তু আমাদের ঐতিহ্য। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের অলিখিত গল্প। এই গল্পগুলোকে এক স্ক্রিন আনার সময় এসেছে। এই গল্পগুলো উপলব্ধি করার সময় এসেছে। পেটকাটা ‘ষ’-তে সেই ক্লাসিক গল্পগুলোকে নতুন করে উপস্থাপন করেছি।’
ওয়েব সিরিজটি দেখা যাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে।
সারাবাংলা/এজেডএস