বিনোদের সুরে সন্দীপনের কণ্ঠে নববর্ষের গান ‘ও ঢাকি বাজারে ঢাক’
১৭ এপ্রিল ২০২২ ২০:৪৪
গুণী সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক বিনোদ রায় বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ গান প্রকাশ করে বরাবরই প্রশংসা কুড়িয়ে থাকেন। এবারের পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিনোদ রায় নিয়ে এসেছেন নববর্ষের গান ‘ও ঢাকি বাজারে ঢাক’। প্রবাসী গীতিকার মইনুল হক মঈনের কথায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পী সন্দীপন। আর গানটি প্রকাশ হয়েছে ‘সুরের পিয়াসী এন্টারটেইনম্যান্ট’ ইউটিউব চ্যানেল থেকে।
গানটি প্রসঙ্গে শিল্পী সন্দীপন সারাবাংলাকে জানলেন, ‘আমার নতুন গান ও ঢাকি বাজারে ঢাক এসেছে গত ১০ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখের চার দিন আগে। বেরিয়েছে সুরের পিয়াসী এন্টারটেইনম্যান্ট ইউটিউব চ্যানেল থেকে। গানটির গীতিকার মইনুল হক মইন এবং সুর ও সঙ্গীতায়োজনে বিনোদ রায়। বিনোদ রায় অসাধারণ একজন কীবোর্ড প্লেয়ার এবং কম্পোজার। এই গানটা করার পেছনে মূলত তারই ভূমিকা বেশি।’
সন্দীপন আরও বলেন, ‘গানটি মূলত উৎসবকে কেন্দ্র করেই। করোনার কারণে আমরা দীর্ঘদিন সবধরণের উৎসব বা আনন্দ আয়োজন থেকে বঞ্চিত ছিলাম। এবার যখন আমরা সেই সংকটটাকে কাটিয়ে উঠতে পেরেছি, তাই এই উৎসবটাকে আরও আনন্দময় করে তুলতেই এমন একটি গানের সৃষ্টি।’
শ্রোতাদের প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়টি জানিয়ে সন্দীপন আরও বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হচ্ছে পহেলা বৈশাখ নিয়ে বাংলাদেশের তেমন একটা গান নেই। যা আছে তাও হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র এবং সেগুলো বেশ আগের। তাই শ্রোতাদের নতুন একটি গান দেওয়ার তাগিদ থেকেই এই গানটি করা। আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে, আমাদের শেকড় হচ্ছে বাংলা গান। তাই নতুন বছরকে ঘিরে আমাদের এই গান প্রকাশের পর থেকেই শ্রোতাদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি এবং সেটা অব্যাহত থাকবে বলেই আমি মনে করি।’
‘ও ঢাকি বাজারে ঢাক’ গানটির সুরকার ও সঙ্গীতায়োজক বিনোদ রায় জানালেন, ‘এই গানটি এবারের পহেলা বৈশাখ নিয়ে। নববর্ষকে কেন্দ্র করেই আমাদের এই আয়োজন। আমি সবসময় চেষ্টা করি প্রতি দিবসকে সামনে রেখে শ্রোতাদের নতুন কোনো গান উপহার দিতে। তার মধ্যে এবারের পহেলা বৈশাখের এই গানটা একটু ভিন্ন ধাঁচের।’
বিনোদ রায় আরও বলেন, ‘আমার অনেকদিন ধরেই ইচ্ছে ছিল গায়ক সন্দীপনকে দিয়ে একটা গান করানোর। এবার সেটা সম্ভব হয়েছে। সেইসঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই এই গানের গীতিকার মইনুল হক মঈন ভাইকে। উনার সঙ্গে অনেকগুলো গান নিয়ে আমার কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। এবারের নববর্ষ নিয়ে যখন একটা কাজ করার ইচ্ছা তাকে জানালাম, তিনি সঙ্গে সঙ্গেই গানটা লিখে পাঠালেন। আমি দেখলাম, এই গানে শুধু উৎসব নয়, প্রকৃতিকেও নিয়ে এসেছেন তিনি। যেটা একেবারেই ভিন্ন ধাঁচের। আমি আর দেরি না করেই গানটির সুর আর সঙ্গীতায়োজন করেই সন্দীপনকে দিয়ে গাওয়াই। গানটি প্রকাশের পর থেকেই যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তার জন্য আমি শ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
সারাবাংলা/এএসজি