বিদ্যা সিনহা মিম- একাধারে মডেল ও অভিনেত্রী। ২০০৭ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার চ্যাম্পিয়ন হয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু। এরপর প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাফল্যের সাথেই এগিয়ে চলছেন তিনি। একই বছরে হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল’র মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ‘জোনাকির আলো’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। লেখিকা হিসেবেও রয়েছে পরিচিতি। ২০১২ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় প্রথম গল্পের বই ‘শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভেজা’ এবং ২০১৩ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার উপন্যাস ‘পূর্ণতা’। এতো গুনের অধিকারী এই অভিনেত্রী এবার বাংলাদেশে ইউনিসেফের নতুন জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে যোগ দিয়েছেন। একজন জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে মীম সারা বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে যুক্ত হলেন, যারা নিজেদের জনপ্রিয়তা ও জোরালো কণ্ঠস্বর কাজে লাগিয়ে শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংস্থাটির সঙ্গে এক চুক্তির মাধ্যমে এ পদে যোগ দেন বিদ্যা সিনহা মিম। ইউনিসেফে যোগ দিতে পেরে উৎফুল্ল মীম। বললেন, ‘সারাদেশে শিশুদের জন্য, তাদের শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, ইউনিসেফ আমাদের সঙ্গে আছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের জন্য ইউনিসেফের কাজে মুগ্ধ। প্রতিটি শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সেই কাজের অংশ হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’
মীম আরও বলেন, ‘শিশু ও নারীদের অধিকারের জন্য সোচ্চার হওয়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আমি সেই দায়িত্ব ইউনিসেফের সঙ্গে একত্রে পালন করতে উন্মুখ।’
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, ‘মীম বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত শিশু ও নারীদের সুরক্ষিত রাখার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন। মীম-কে সঙ্গে পেয়ে আমরা আনন্দিত এবং প্রতিটি শিশুর অধিকার ও সার্বিক কল্যাণের জন্য তার সঙ্গে কাজ করতে আমরাও উন্মুখ হয়ে আছি।’
বাংলাদেশে ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে মীম শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন, বিশেষ করে যেসব শিশু সবচেয়ে অবহেলিত। বাংলাদেশে শিশু ও নারীরা যে ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি হয় তার বিরুদ্ধে তিনি ইউনিসেফের পক্ষে কথা বলবেন।