দুই প্রবীণের ম্যাজিকে রেকর্ড গড়লো ‘বেলাশুরু’

শিবপ্রসাদ এবং নন্দিতা যখন সিনেমা বানায় তার জের থেকে যায় দর্শকদের মনের ভেতর। দর্শক মনে রাখে, নাকি সিনেমা গুলো মনে রাখায় এই দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে। আর এই দ্বন্দ্বের মাঝে মুচকি হাসবেন এই দুজন পরিচালক অর্থাৎ শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়। তাদের সিনেমায় যেটা বেশি প্রাধান্য পায় তা হলো ভালো অভিনয় এবং অভিনয়ের প্রয়োজনে সঠিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর নির্বাচন। এই মুহুর্তে এই জুটির সর্বশেষ ছবি ‘বেলাশুরু’তেও একই। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর অভিনয় ফের একবার মন ছুঁয়েছে বাঙালির। এই দুই নামের ম্যাজিকে বক্স অফিসে বিপুল আয় ‘বেলাশুরু’র। শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটি পরিচালিত ‘পোস্ত’, ‘হামি’, ‘প্রাক্তনে’র মতো সিনেমাকেও টেক্কা দিয়েছে নতুন এই ছবি। মাত্র পাঁচ দিনেই ছবির আয় প্রায় দু’কোটি রূপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা।

বিশ্বনাথ ও আরতির দীর্ঘ ৫০ বছর সংসার। কিন্তু হঠাৎই অ্যালজাইমার্সে আক্রান্ত হয়ে নিজের স্বামীকেই ভুলেছেন আরতি। কেমনভাবে আরতিকে আগলে রাখছেন বিশ্বনাথ? তা চাক্ষুস দেখে মুগ্ধ দর্শক। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ম্যাজিকাল টাচ আরও সুন্দর করে তুলেছে এই ছবি।

২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘বেলাশেষে’। বড়পর্দায় বিশ্বনাথ ও আরতির কাহিনি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শকরা। তার সাত বছর পর সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘বেলাশুরু’। ভারতবর্ষের এমন এক সিনেমার যার নায়ক ও নায়িকা আর বেঁচে নেই। কিন্তু শিল্পী তো শিল্পের মাধ্যমেই অমর থাকে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে। বাংলা সিনেমার কিংবদন্তিকে একসঙ্গে বড়পর্দায় দেখতে সিনেমা হলে ভিড় করেছেন দর্শকরা।

প্রসঙ্গত, সৌমিত্র-স্বাতীলেখা ছাড়াও ‘বেলাশুরুতে’ অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, অপরাজিতা আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী দত্ত, শঙ্কর চক্রবর্তী, মনামী ঘোষ ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।

সারাবাংলা/এএসজি

নন্দিতা রায় বেলাশুরু শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত