‘এই অজ্ঞতা কিংবা অসতর্কতা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’
৫ জুন ২০২২ ১৫:৫৮
শনিবার (৪ জুন) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জন মারা গেছেন। এ ঘটনার কারণ হিসেবে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেছেন, বিস্ফোরণে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ছড়িয়ে পড়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আর এ হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড আমদানিকারকরা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে এ কান্ড ঘটিয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী এর ভয়াবহতার কথা না জেনেই তা আমদানি করেছেন। তাদের এ অজ্ঞতাকে এন্টিরেরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার ও চলচ্চিত্র পরিচালক সানী সানোয়ার বলছেন, ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
সানী সানোয়ার তার ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ অন্যান্য বিস্ফোরক আমদানি নিয়ে লেখেন। তিনি বলেন, এগুলোর অনেকটাই গোপনে জঙ্গিদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হত।
সানী লেখেন, ‘নীল ড্র্বামগুলো অনেকদিন ধরেই আমাদের যন্ত্রণার কারণ। বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু জঙ্গি আস্তানা থেকে এরকম অসংখ্য নীল ড্রাম উদ্ধার হয়েছে। এই নীল ড্রামের হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড দিয়ে জঙ্গিরা বিস্ফোরক বানাতো। অথচ, এগুলো নানা ধরণের শিল্পে কাচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিছু অসাধু সরবরাহকারী এবং শিল্পসংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যক্তি এরকম বেশ কিছু কেমিক্যাল (যেমন, অ্যাসিটোন, এইচএমডিটি, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার প্রভৃতি) ব্যাকডোরে সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করে দিত।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এক্সপ্লোসিভ প্রি-কারসার হিসেবে যে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড বা উল্লিখিত কেমিক্যাল কম্পাউন্ডগুলো ব্যবহৃত হতে পারে এটা অনেক ব্যবসায়ীর অজানা। তেমনি অনেকেই অজ্ঞ কিংবা অসতর্ক ছিল এগুলোর নিরাপদ সংরক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে। তবে, তাদের এই অজ্ঞতা কিংবা অসতর্কতা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।’
সারাবাংলা/এজেডএস