জায়েদ খানের সঙ্গে ওমর সানীর ইস্যুতে স্বামীর বিপক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন মৌসুমী। আর স্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিপরীতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে সোমবার (১৩ জুন) ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন ওমর সানী। সেখানে বলেছেন, তার অভিভাবক হিসেবে যা কিছু বলার সবই তাদের সন্তান ফারদিন ও ফাইজা বলবে।
তিনি বলেন, ‘আমার অভিভাবক হিসেবে ফারদিন ও ফাইজা সব খোলাসা করবে। আমি আমার অভিভাবক হিসেবে ছেলে ফারদিনকে মেনে নিয়েছি। আমার পরিবারের ইজ্জত মানে আমার ইজ্জত। আমার স্ত্রীর ইজ্জত মানে আমার ইজ্জত। আমার ছেলে মেয়ের ইজ্জত মানে আমার ইজ্জত। আমি চাই না, ২৭ বছরে এসে কোন ধরণের ভুল বোঝাবুঝি পরিবারের মধ্যে হোক। কিন্তু বাইরের মানুষ এসে যেভাবে ভাঙার চেষ্টা করছে, আপনারা জানেন সে কে। আমি আর তার (জায়েদ খান) সম্পর্কে আর কিছুই বলবো না।’
তিনি তার ৩২ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ও ২৭ বছরের সংসার জীবনে কেউ তার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনি বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (১২ জুন) শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম। আমি এখনও সেটাতে অটল।’
‘তার (জায়েদ খান) বিষয়ে আমি যা বলেছিলাম সবই সত্য। বিশেষ করে তার গাড়ির বিষয়ে আমার আর আমার ছেলে ফারদিনের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।’
অনেকে বলছে ওমর সানী এসব করছে ভাইরাল হওয়ার জন্য। তাই লাইভ করছে, গণমাধ্যমে কথা বলছে। এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ওমর সানী বলেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রে আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। হিট, সুপারহিট, বাম্পার হিট, নাম্বার ওয়ান-এর সবই আল্লাহ্ আমাকে দিয়েছেন। চলচ্চিত্রের মানুষেরা দিয়েছে। সঙ্গে দর্শকরাও দিয়েছে। আমি কোন বিষয়ে কোন ইউটিউব চ্যানেল বা টিভি চ্যানেলে আসতে আগ্রহী নই। ক্যামেরার সামনে আসবো, তার জন্য আমার ফেসবুকটাকেই বেছে নিয়েছি’।
‘আমি একটু অসুস্থ ফিল করছি। ভিডিও বা অডিও যা কিছু বলার তা ইতোমধ্যে বলে দিয়েছি।’
মৌসুমীকে যাতে কেউ কোন প্রকার অসম্মান করে কিছু না বলার অনূরোধ করেন ওমর সানী। নিজেও বলবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মৌসুমী আমার স্ত্রী, সন্তানের মা। সে একজন গর্জিয়াস মা। আমি তাকে অসম্মান করে একটি কথাও বলবো না। কী ভেবে সে জায়েদ খানকে ভালো বলেছে, ইয়ে বলেছে…। ওনার (জায়েদ খান) সম্পর্কে বাংলা চলচ্চিত্র জানে, বর্তমান কেবিনেট (শিল্পী সমিতির কমিটি) জানে, পরিচালক, প্রযোজক সমিতি এবং দর্শক জানে। আমি এ ব্যাপারে কথা বলবো না।’
‘দর্শক যারা আছেন কেউ মৌসুমীকে নিয়ে, আমাদেরকে নিয়ে বাজে কোন মন্তব্য করবেন না দয়া করে’। আপনাদের যা কিছু বলার আমাকে বলবেন। আপনারা বুঝে গেছেন জায়েদ খান কী।’