প্রস্থানের এক বছর
২১ এপ্রিল ২০১৮ ১১:৪৮ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৮ ১২:৫১
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
ধারাকে ভেঙে দেয়া শিল্পী লাকী আখান্দ। বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করার কারিগরদের মধ্যেও অন্যতম। বাংলা গানের প্রচলিত সুর ও সংগীতায়োজনের ধারা ভেঙে বের হয়ে এসেছিলেন তিনি।
২১ এপ্রিল, শনিবার, গুণী এই সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়কের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। দেখতে দেখতে কেটে গেল একটি বছর।
লাকী আখান্দ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সংগীতশিল্পী ও ফিডব্যাক ব্যান্ডের সদস্য ফুয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘লাকী ভাই নব্বই দশকের বাংলা গানের শ্রোতাদের পপ সুরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। শ্রোতারা তো অবশ্যই, আমরা যারা তখন আরও নবীন, তার সেসব গান শুনে রীতিমতো স্তম্ভিত, মোহাবিষ্ট হয়ে যেতাম।’
নতুন ধরনের সুর ও সংগীত অনেক সময় ইতিবাচক হয়না। শ্রোতাদের ভালো না লাগলে সেই কাজের আর মূল্য থাকে না। লাকী আখান্দ যা করেছেন, তার প্রতিদান তার শ্রোতারাই দিয়েছেন। তারা মনে রেখেছে লাকীর গান। এখনো নবীন গিটারের ছয় তারে খেলে তার সুর।
জনপ্রিয় শিল্পী এবং রেনেসা ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য নকীব খান লাকীকে স্মরণ করলেন এভাবে- ‘লাকী আখান্দ পপ ধাচের গান করলেও, গানগুলো তিনি তৈরি করেছেন দেশীয় ঢংয়ে। আর সেজন্যই গানগুলো টিকে আছে, টিকে থাকবে।’
লাকী আখান্দের করা বিখ্যাত গানের মধ্যে ‘এই নীল মনিহার’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘মামুনিয়া’, ‘কে বাঁশি বাজায় রে’, অন্যতম। গানের শিরোনামগুলো পড়েই হয়ত গুণগুণ করে উঠতে চাইবে পাঠকের মন। গানগুলো সবশ্রোতাদের ভালোলাগার, ভালোবাসার বলেই নতুন করে অনেকেই গেয়েছেন গানগুলো। তৈরি করা হয়েছে বেশকিছু গানের মিউজিক ভিডিও।
লাকী আখান্দ ১৯৫৬ সালের ৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন।
লাকী আখান্দের প্রথম অ্যালবাম ‘লাকী আখান্দ’ নামে প্রকাশ পায় ১৯৮৪ সালে। তবে ১৯৮০ সালেই লাকী সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ঘুড্ডি ছবিতে। এই ছবিতে তারি সুর করা ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটি সেসময় তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এখনো গানটি সমান জনপ্রিয়।
দীর্ঘদিন ফুসফুসের ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল মারা যান বাংলা গানের খ্যাতিমান এই সুরস্রষ্টা।
সারাবাংলা/পিএ/পিএম