৩০ বছর ধরে দিল্লি যাওয়ার অপেক্ষায় শাহরুখ
২৫ জুন ২০২২ ১৬:৫০
শাহরুখ খান- যাকে বলা হয় বলিউডের মুকুটহীন ‘বাদশা’। নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের কাছে যিনি একমাত্র ‘আইডল’। ১৯৯২ সালের জুন মাসে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দিওয়ানা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউড জগতে প্রবেশ করেন শাহরুখ। এরপর নিজের লম্বা ফিল্মি কেরিয়ারে তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন ‘কিং খান’ খ্যাত এই অভিনেতা। কিন্তু দুই-একটা ছবি করেই ব্যাগপত্র গুটিয়ে আবার দিল্লি পাড়ি দেবেন, সেই আশা বুকে বেঁধে একসময় মুম্বাই এসেছিলেন শাহরুখ। তা আর হল কই?
বলিপাড়ায় বরাবরই স্পষ্টবক্তা হিসেবে তার নাম সর্বজনবিদিত। এবার এই তারকার মুখেই শোনা গেল তার শূন্য থেকে শুরু করে দীর্ঘ এই লড়াইয়ের গল্প। সিমি গারওয়ালকে দেওয়া পুরনো এক সাক্ষাৎকার সম্প্রতি শাহরুখের ফ্যান পেজ থেকে ভাইরাল হয়েছে। স্ট্রাগল জীবনের শুরুটা কেমন ছিল সেই নিয়ে বলতে দেখা যায় শাহরুখকে।
https://twitter.com/TeamSRKWarriors/status/1388876774331740168
সেই সময় বেশিরভাগই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত পরিবার থেকে ছিল বলে জানিয়ে সাক্ষাৎকারে শাহরুখ নিজেকে ‘আউটসাইডার’ হিসেবেই আখ্যা দেন। কিন্তু কেউ তাকে সেই অনুভূতিটা হতে দেয়নি। আজিজ মির্জা তাকে থাকার জন্য বাড়ি দিয়েছিল। হেমা মালিনি এবং রাকেশ রোশন তার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করেছিল। যাদের সঙ্গে তিনি ছবি করেছিলেন সকলেই তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছিল।
বলিউড বাদশা বেশ বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে বলেন, তার মনে হয়েছিল যেন মুম্বাইয়ে সকলে তার জন্য অপেক্ষা করছে। তিনি মাত্র এক বছরের একটু বেশি সময় মুম্বাইতে এসেছেন। ভেবেছিলেন, কয়েকটি ছবি করে দিল্লি ফেরত চলে যাবেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত যেতে পারেননি। সাগর ঘেঁষা মান্নাতেই এখন তার সোনার সংসার।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে শোবিজের দুনিয়ায় রয়েছেন শাহরুখ। একাধিক সুপার স্টারের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। প্রত্যেক নবাগতের মতোই অমিতাভ বচ্চন, দিলীপ কুমারের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন দেখতেন শাহরুখ।
তিনি সিমি গারওয়ালকে আরো বলেছেন, ‘সবাই আমাকে ভয় দেখিয়েছে। আমি যখন প্রথম কোনো অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করি তখন আমি খুব নার্ভাস হয়ে যাই। কারণ আমি কোনও অভিনেতার থেকে কম নই। তবে এই মানুষগুলিকে দেখে আমি বড় হয়েছি বলেই আমি কখনো ভাবিনি যে, আমি এদের সঙ্গে কাজ করতে পারব। অমিতাভ বচ্চন এবং দিলীপ কুমার আমার সঙ্গে দেখা করেন, তারা আমাকে আমার গালে ট্যাপ করেন এবং আমার সঙ্গে হাত মেলান। তাদের সঙ্গে বসে থাকতে পারাটা এক দুর্দান্ত অনুভূতি। আমি এটা ভয়-ভীতিজনক বলব না তবে এটি আমার জন্য দারুণ মুহুর্ত ছিল।’
সারাবাংলা/এএসজি