শুধু আইনই নয়, হিন্দি সিনেমা আমদানিতে প্রজেকশন সিস্টেমও বাধা
১১ জুলাই ২০২২ ১৪:১৫ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০২২ ১৪:২২
দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের নাজুক দশায় হল মালিকরা সিনেমা হলে হিন্দি চলচ্চিত্র প্রদর্শনকে ‘টনিক’ হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকদিন থেকেই। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তারা দাবি জানিয়ে আসছেন হিন্দি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের। তবে চলচ্চিত্রশিল্পীরা বরাবরই সোচ্চার এর বিরুদ্ধে। ২০১৫ সালে শিল্পী-পরিচালকরা রীতিমতো কাফনের কাপড় পরে আমদানি করা হিন্দি ছবি প্রদর্শনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। সার্বিক পরিস্থিতি মিলিয়ে নানাবিধ কারণে রাজি না হলেও ২০২০ সালের শুরুর দিকে সরকার এ বিষয়ে খানিকটা নমনীয় হয়।
২০২১ সালে সিনেমা হল সংস্কার ও নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার কোটি টাকার ঋণের ঘোষণা দিলে ফের আলোচনায় উঠে আসে হিন্দি ছবি আমদানি ও প্রদর্শনের বিষয়টি। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র অঙ্গনের বেশিরভাগই এখন হিন্দি ছবি আমদানির পক্ষে। তারা ধারণা করছেন, এ বছরেই হয়তো এর অনুমতি মিলবে। তবে এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে রয়েছে আমদানি নীতিমালা। তাছাড়া স্বাধীনতার পর থেকে চলা আসা আইনি নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। আবার আইনি বাধা উঠে গেলেও কারিগরি সক্ষমতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন— দেশের সিনেমা হলগুলো হিন্দি ছবি প্রদর্শনের জন্য আদৌ উপযুক্ত তো?
কেন এ আমদানি
আশির দশকের শুরুতে দেশে সিনেমা হল তৈরির জোয়ার আসে। একসময় দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা বেড়ে ১২শ ছাড়িয়ে যায়। হলগুলো ব্যবসাও করতে থাকে চুটিয়ে। কিন্তু নতুন শতাব্দীর শুরু দিকেই ছন্দপতন। চলচ্চিত্র অঙ্গনে অশ্লীলতার জোয়ার শুরু হলে একসময় রুচিসম্পন্ন দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নেন সিনেমা থেকে, সিনেমা হল থেকে। কমতে থাকে হলের সংখ্যা। সিনেমা হলের ব্যবসায় ধ্বস নামে। কমতে কমতে এখন হলের সংখ্যা এসে ঠেকেছে দুইশতে।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাশ সারাবাংলাকে বলেন, মূলত দেশীয় ছবি মানসম্মত না হওয়ায় সিনেমা হলে দর্শক হচ্ছে না। আবার করোনা মহামারির প্রভাবতে তো ছবির নিয়মিত সরবরাহই নেই। এ কারণে দিনের পর দিন হল মালিকরা লস দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে চাইছেন না। তাই আমরা বলেছি, বছরে অন্তত ১০-১২টি হলেও হিন্দি ছবি চালানোর অনুমতি দিতে হবে। এতে হল মালিকরা ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন, আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। হল বন্ধ হবে না। এর প্রভাবেদেশীয় ছবির দর্শকও বাড়বে বলে আমাদের বিশ্বাস।
দেশী চলচ্চিত্র ব্যবসা করতে পারছে না বলেই হিন্দি ছবির দিকে ঝুঁকতে চাইছেন হল মালিকরা। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ সারাবাংলাকে বলেন, “গত ইদে আমাদের এখানে ‘শান’ অনেক ভালো ব্যবসা করেছে। দেশের ছবি ভালো ব্যবসা দিতে পারলে আমরা বিদেশি ছবি চালাব না। যখন দেশের ছবি ভালো ব্যবসা দিয়েছে, তখন কিন্তু আমরা (হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানির) এ দাবি করিনি।”
আমদানি প্রক্রিয়া কত দূর
গেল দুই বছরে প্রদর্শক সমিতি বেশ কয়েকবার হিন্দি সিনেমা আমদানি নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। মন্ত্রীও তার বিভিন্ন বক্তব্যে জানিয়েছেন, সরকার এ ব্যাপারে ইতিবাচক। কিন্তু বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে কতদূর এগিয়েছে?
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচিত্র-১) মো. সাইফুল ইসলাম জানালেন, বিষয়টি বৈঠক পর্যায়ে আটকে আছে এখনো। তিনি বলেন, ‘সিনেমা হল সংস্কার ও নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১ হাজার কোটি টাকার তহবিলের ঋণ বিতরণ নিয়ে আমরা হল মালিকদের সঙ্গে বসেছিলাম। সেখানে তারা ভারতীয় ছবি, বিশেষ করে হিন্দি ছবি চালানোর অনুমতি দেওয়ার দাবি করেছিলেন। আমরা এ বিষয়ে তাদের চলচ্চিত্রের সব সংগঠনের সম্মতি নিয়ে লিখিত আবেদন করতে বলেছিলাম। কিন্তু এখনো কোনো লিখিত আবেদন পাইনি।’
সুদীপ্ত কুমার দাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানালেন, তারা লিখিত আবেদন ও এ সম্পর্কিত অন্যান্য নথিপত্র গুছিয়ে এনেছেন। শিল্পী সমিতির সম্মতি না থাকায় তারা বিষয়টি নিয়ে এগুতে পারছিলেন না। তবে শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন হিন্দি সিনেমা চালানোর পক্ষে কথা বলেছেন। চলচ্চিত্রের ১৯টি সংগঠনও হিন্দি ছবি আমদানির পক্ষে রয়েছে। সব মিলিয়ে ইদুল আজহার পর লিখিত আবেদন নিয়ে তারা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে বসবেন বলে পরিকল্পনা করেছেন বলে জানালেন সুদীপ্ত।
কোন প্রক্রিয়া ও শর্তে আমদানি হবে হিন্দি চলচ্চিত্র
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আমদানিকারকরা জানাচ্ছেন, হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানির প্রক্রিয়া এখনো ঠিক হয়নি। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতিমালার অধীনে ছবি আনা হবে। হল মালিকরা বছরে ১২টি ছবি চাইলেও চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলো ১০টির বিষয়ে একমত হয়েছে।
সুদীপ্ত কুমার দাশ বলছেন, তারা সবাই মিলে প্রাথমিকভাবে তিনটি মৌলিক শর্ত ঠিক করেছেন— বছরে ১০টির বেশি হিন্দি ছবি আমদানি করা যাবে না; বছরের ৫২ সপ্তাহের মধ্যে ২০ সপ্তাহের বেশি হিন্দি ছবি চালানো যাবে না, বাকি ৩২ সপ্তাহ দেশি ছবি চালাতে হবে; এবং দেশের বড় দুই উৎসব ইদুল ফিতর ও ইদুল আজহায় কোনো হিন্দি ছবি মুক্তি দেওয়া যাবে না।
এ সম্পর্কিত আরও অনেক বিষয়ই চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে সুদীপ্ত বলেন, হিন্দি ছবি আমদানির অনুমতি কতদিনের জন্য দেওয়া হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। এটা হয়তো সবসময়ের জন্য হতে পারে, আবার নির্ধারিত কয়েক বছরের জন্য হতে পারে।
তবে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান বলেন, আমরা হল মালিকদের দাবির কারণে আপাতত সম্মতি দিয়েছি। তবে যেন কোনোভাবেই দুই-তিন বছরের বেশি সময়ের জন্য অনুমতি না হয়। তাহলে হয়তো আমাদের আবার আন্দোলনে যেতে হতে পারে।
হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানির বিরোধীতাকারীদের বক্তব্য
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নেতৃত্বে হিন্দি ছবি আমদানির বিপক্ষে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলন হয়েছিল। তারও আগে থেকে তারা এ বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক।
পরিচালক সমিতির সিদ্ধান্ত বদলের কারণ জানিয়ে তখনকার আন্দোলনের অন্যতম নেতা সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘করোনাসহ নানাবিধ কারণে আমাদের হল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত। ভালো ছবি কম পরিমাণে নির্মাণ হওয়ায় আমরা তাদেরকে পর্যাপ্ত ছবি দিতে পারছি না। তাই তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা হিন্দি ছবি চালানো ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছি।’
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে হিন্দি ছবি সিনেমা হলে আটকে রাখা গেলেও দর্শককে তা দেখা থেকে বিরত রাখার উপায় নেই। এ পরিস্থিতিতেই পরিচালকরা মনে করছেন, হিন্দি ছবি আমদানি হলে দেশীয় ছবির পরিচালকরা প্রতিযোগিতার মুখে পড়বেন। এতে আমাদের ছবির মান আরও বাড়বে এবং বাজেট ও বাজার বাড়বে।
ওই আন্দোলনের আরেক নেতা প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুও তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থেই আমরা এতে সম্মতি দিচ্ছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন হল সংস্কার ও নতুন করে নির্মাণের জন্য। সেখান থেকে ১০০ সিনেমা হল হয়ে গেলে দর্শক ফিরতে শুরু করবে। কারণ এখন দর্শক না হওয়ার অন্যতম কারণ হলের পরিবেশ ভালো না থাকা। এছাড়া পরিবেশনা সিস্টেমে সমস্যা।’
সংশোধন করতে হবে আমদানি নীতিমালা
দেশে বিদেশি ছবি আমদানি হয় পণ্য হিসেবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালায় বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত ছবি আমদানি করা যাবে না। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যেকার পণ্য আমদানি-রফতানি নীতিমালা ‘সাফটা চুক্তি’ অনুযায়ী চাইলে ভারতীয় যেকোনো ভাষার ছবি আমদানি করা যাবে। তবে এর বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে যেতে হবে আরেকটি ছবি। উপমহাদেশীয় ভাষার ছবি আমদানি করতে হলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে।
জানা যায়, স্বাধীনতার পরে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির তৎকালীন নেতৃস্থানীয়রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে দেশীয় চলচ্চিত্রের সুরক্ষায় ভারতীয় ছবি আমদানি ও প্রদর্শনীতে নিষেধাজ্ঞা চান। ১৯৭৩ সালে দেওয়া সে নিষেধাজ্ঞা এখনো চলছে।
বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় হিন্দি ছবি আমদানির নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে— এ তথ্য পুরোপুরি ঠিক নয় বলে অবশ্য দাবি করলেন সুদীপ্ত কুমার দাশ। তিনি বলছেন, মূলত ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে ভারতীয় ছবি আমদানি নিষিদ্ধ হয়েছিল। এরপর স্বাধীনতার পর এ দেশের চলচ্চিত্রের মানুষদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওই নীতিমালা সংশোধন করে উপমহাদেশীয় ভাষার ছবি আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। স্বাধীনতার আগে দেশে উর্দু ছবি চলত। স্বাধীনতার পর কেউ যেন উর্দু ছবিও না আনতে পারে, সে কারণেই নীতিমালাটি সংশোধন করা হয়। তবে বর্তমানে হিন্দি ছবি চালাতে হলে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে আমদানি নীতিমালা সংশোধন করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
এ প্রসঙ্গে উপসচিব সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি নীতিমালা সংশোধনসহ অন্যান্য আইনি জটিলতার বিষয় আছে। চলচ্চিত্র অঙ্গনের নেতাদের কাছ থেকে আমরা লিখিত প্রস্তাবনা পেলে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। এরপর তারা প্রয়োজনীয় সংশোধনীর ব্যবস্থা নেবে। পুরো বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। এতটুকু বলতে পারি, সরকার আন্তরিক।’
বড় বাধা কারিগরি সীমাবদ্ধতা
একসময় সারাবিশ্বে ৩৫ মি.মি. প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শিত হতো চলচ্চিত্র। ক্রমেই এখন সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতি হচ্ছে ডিসিপি। আর বর্তমানে হিন্দি ছবি বা বলিউডের প্রযোজক-পরিবেশকরা এর বাইরে সাধারণত দেশের বাইরে ছবি মুক্তি দিতে চান না। কারণ এ পদ্ধতিতে একটি সেন্ট্রাল সার্ভার থেকে ছবিটি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের সিনেমা হলে প্রদর্শন করা যায়। আর কোন হলে প্রতিদিন কয়টি শো চলবে, কয়টার সময় চলবে— তা বিশেষ প্রোগ্রাম দ্বারা নির্ধারণ করা থাকে। প্রতিবার প্রদর্শনের আগে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড দিয়ে ছবি চালাতে হয়। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে চাইলেই ছবি পাইরেসি করা যায় না।
দেশে-বিদেশি ছবি আমদানিকারক, প্রদর্শক ও এ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা হয়েছে সারাবাংলার এই প্রতিবেদকের। তারা বলছেন, দেশের সাত-আটটি সিনেমা হলে হিন্দি ছবি প্রদর্শন করার মতো প্রযুক্তি আছে। ফলে ‘প্রজেকশন সিস্টেম’কেই হিন্দি ছবি প্রদর্শনে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করছেন তিনি।
সিনেমা হলগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে
সুদীপ্ত কুমার দাশও স্বীকার করে নিলেন, দেশের সাধারণ মানের কোনো হলেই ডিসিপি প্রজেকশন সিস্টেম নেই। ফলে এসব হলে হিন্দি ছবি চালানো অসম্ভব। তিনি বলেন, ‘হিন্দি ছবির পরিবেশকরা ডিসিপি ছাড়া ছবি চালাতে চান না। হয়তো তারা ৩৫ মি.মিতে ছবি দিলে আমরা চালাতে পারতাম। এতে অনেক ঝামেলা হয় বলেই তারা ভারতের বাইরে এভাবে ছবি দেন না।’
তবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ৫০টি এবং আগামী এক বছরে একশটির মতো সিনেমা হল দাঁড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সুদীপ্ত দাশসহ প্রযোজক-পরিচালকদের অনেকেই। তাদের ভাষ্য, নতুন এই হলগুলোর বড় অংশই হবে মাল্টিপ্লেক্সের আদলে। ফলে ১০০ হল হলেও স্ক্রিন পাওয়া যাবে দুই থেকে আড়াইশ। আর নতুন হলগুলোতে আধুনিক কারিগরি মান বজায় থাকবে, থাকবে ডিসিপি প্রজেকশন সিস্টেমও। এই সময়ের মধ্যে আমদানি নীতিমালা সংশোধন করা গেলে আগামী ডিসেম্বর থেকেই দেশে হিন্দি চলচ্চিত্র প্রদর্শনে আর কোনো বাধা থাকবে না— এমনটিই আশাবাদ তাদের।
সারাবাংলা/এজেডএস/টিআর