শোক দিবসের দুই কাহিনিচিত্র
১২ আগস্ট ২০২২ ১৪:০৪
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা। বিগত কয়েক বছর ধরে সেই ঘটনা নিয়ে সিরিজ কাহিনিচিত্র নির্মাণ করছেন কবি ও গীতিকার সহিদ রাহমান। আসছে ১৫ আগস্টেও তার লেখা ‘মহামানবের দেশে’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে দুটি কাহিনিচিত্র।
কাহিনিচিত্র দুটির মধ্যে একটির নাম ‘আমি মায়ের কাছে যাবো’। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সেই কালরাতে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শিশু রাসেলকে যখন হত্যা করা হয়, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। নিষ্পাপ ও নিরপরাধ এই শিশুকে হত্যা করতেও সেদিন ঘাতক খুনিদের বুক কাঁপেনি। মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা মানব ইতিহাসের অন্যতম মর্মস্পর্শী হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকবে। মৃত্যুর আগে শিশু শেখ রাসেলের কান্নাজড়িত কন্ঠে শেষ কথা ছিল ‘আমি মায়ের কাছে যাবো’। সেই গল্পই দেখা যাবে এই কাহিনিচিত্রে।
অন্তর রহমান ও মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন তারিন জাহান, ফজলুর রহমান বাবু, সাবেরী আলম, সাবিহা জামান, শিশুশিল্পী দিহান ও সানজিদ। ১৫ আগস্ট রাত ৮টায় আরটিভিতে প্রচারিত হবে।
অপর কাহিনিচিত্রটির নাম ‘একজন কফিলুদ্দিন’। সহিদ রাহমানের রচনায় এর নাট্যরূপ দিয়েছেন বিদ্যুৎ রায়। পরিচালনা করেছেন সুমন ধর। এর গল্প সত্তরোর্ধ্ব কফিলুদ্দিনকে নিয়ে, যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ২৬ বছর ধরে খালি পায়ে, কালো পোশাক ও কোন প্রাণীর মাংস না খেয়ে জীবন যাপন করছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার এমন শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর শোক পালন মানুষকে হতবাক করে। ফলে গ্রামের মানুষ তাকে মুজিব পাগল নামে ডাকে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, আহমেদ রুবেল ও রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ। বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দু-বাংলার খ্যাতিমান কথা-সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ১৫ আগষ্ট রাত ৮টা ৫০ মিনিটে এটিএন বাংলায় প্রচারিত হবে কাহিনিচিত্রটি।
সারাবাংলা/এজেডএস