ক্যারাম নিয়ে ফারুকী ও কচি খন্দকারের পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস
২২ আগস্ট ২০২২ ১৭:১৬
নন্দিত অভিনেতা মোশাররফ করিমের জনপ্রিয়তার শুরুটা হয়েছিলো ‘ক্যারাম’ নাটক দিয়ে। নাটকটির চিত্রনাট্যকার হিসেবে সবাই জানে অভিনেতা কচি খন্দকারের নাম। তবে এ নিয়ে নতুন বির্তকের সৃষ্টি করলেন নাটকটির নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি দাবি করেছেন, কচি খন্দকারকে ক্রেডিট দেওয়া হলেও আদতে তিনি এর লেখক নয়।
মোশাররফ করিমের জন্মদিন সোমবার (২২ আগস্ট) উপলক্ষ্যে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে আইডিতে এক স্ট্যাটাস দেন ফারুকী। সেখানেই এ বিতর্ক উসকে দেন তিনি।
ফারুকী লেখেন, ‘মোশাররফ করিমের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ ক্যারাম। ক্যারাম কাজটা মূলত দুইটা জিনিসের অনুপ্রেরনায় বানানো। প্রথমটা হলো ছোটবেলায় ক্যারমে আমার নিদারুন ব্যর্থতা। মাসুদ, বাবলু, এমনকি জাহাঙ্গীরের কাছেও হারতাম। কিন্তু পরাজয়টা কখনোই মানতাম না। দ্বিতীয় অনুপ্রেরনা হচ্ছে আমাদের শুটিংয়ের বাড়ীর ক্যারম টূর্নামেন্ট। আমি আর আমরা সব ভাই-বেরাদর এক সাথে থাকতাম সেখানে- এটা সবাই জানেন। সেই আবাসিক ক্যাম্পে আমরা আবিষ্কার করি কচি খন্দকার মোটামুটি আমার ছোটবেলার বুড়ো ভার্সন। তখন আমরা প্রতি খেলায় হারার পর কচিকে অত্যাচার করার নানা সৃজনশীল উপায় আবিষ্কার করি। এবং কচি খেপেখুপে প্রায় প্রতিদিনই আমাদের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। আমি ঠিক করলাম এই সব নিয়েই ক্যারম নামে একটা টেলিফিল্ম বানাবো। এবং কচি খন্দকারের প্রতি অত্যাচারের প্রতিদান হিসাবে তাকে স্ক্রিপ্ট রাইটার ক্রেডিট দেই। যদিও স্ক্রিপ্ট লেখা সেশনের সাথে তার আদতে কোনো সংস্পর্শ ছিলো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তখন আমি স্ক্রিপ্ট লেখি সোফায় শুয়ে শুয়ে। লেখি না আসলে, দৃশ্য বলি! মাহমুদ আর সুজন সেটা কাগজে কপি করে। স্ক্রিপ্টের মাঝ পর্যায়ে মোশারফ করিম আসেন আমাদের ক্যাম্পে। তাকে কাস্ট করার পর আমার উপর চাপ বেড়ে যায়। একজন সাংবাদিক ফোন করে বললেন, বস, আপনি শিওর উনি পারবেন? উনি কিন্তু প্রমিনেন্ট কেউ না। আমি বললাম, হি উইল বি প্রমিনেন্ট প্রেটি সুন। সেই সাংবাদিক আমার ফ্রেন্ডলিস্টেও আছেন।’
ফারুকীর এ স্ট্যাটাসের জবাব দিয়েছেন কচি খন্দকার। তিনি লেখেন, ‘এই ক্যারাম লেখায় আমার নাকি কোনো ভুমিকাi নাই।
কিন্তু ঘটনা হাজার বছর আগের না এই মাত্র সেদিনের কথা। ভাইব্রাদার সবাই জীবিত প্রায় সবাই জানে তাদের সামনেই আমি আমার ক্যারামের স্ক্রিপ্ট পড়ি। এটাই সত্য ইতিহাস এর মধ্যে কোনো মিথ্যাচার নাই।’
সারাবাংলা/এজেডএস