বনানীতে দাফন করা হবে গাজী মাজহারকে
৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:০৭
খ্যাতিমান গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে। সোমবার (৫ আগস্ট) বাদ জোহর জানাজা শেষে তাকে সমাধিস্থ করা হবে।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিবারের সদস্য শাহরিয়ার শাকিল এসকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার সকাল ১১টায় তাকে সর্বসাধরণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনারে রাখা হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে। সেখানে দুপুর ১২টায় তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জানাযা হবে বনানীতে।
রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ৭ টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যারা যান গাজী মাজহারুল আনোয়ার। মৃত্যকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে এবং নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
কর্ম জীবনে ২০ হাজারের অধিক গান লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তার অনেক গান কালজয়ী হয়েছে। এর মধ্যে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’ উল্লেখযোগ্য। বিবিসি বাংলা’র জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় তার লেখা তিনটি গান রয়েছে।
২০০২ সালে বাংলাদেশের একুশে পদক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বপ্রথম পুরস্কার ‘বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন তিনি। পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একাধিকবার বাচসাস পুরস্কার, বিজেএমই অ্যাওয়ার্ড, ডেইলি স্টার কর্তৃক লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ডসহ তার অর্জিত পুরস্কারের সংখ্যা ১১০।
১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন তিনি। ১৯৬৭ সালে ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ সিনেমার মধ্যে দিয়ে প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন তিনি। ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও দক্ষতা দেখান তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র নান্টু ঘটক ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়। প্রায় ৪১টি সিনেমা পরিচালনা করেন তিনি।
সারাবাংলা/এজেডএস