নতুন রুপে বাঁধন আসছে গুটিতে
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৪৪
খুব শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে ‘গুটি’ সিরিজের শুটিং। চরকি অরিজিনাল সিরিজটি পরিচালনা করছেন শঙ্খ দাসগুপ্ত। সিরিজের প্রধান চরিত্রে থাকছেন আজমেরী হক বাঁধন। পরিচালক শঙ্খ ও অভিনেত্রী বাঁধন দুজনেরই চরকিতে এটি প্রথম কাজ হতে যাচ্ছে।
দেশীয় ওটিটিতে এটাই প্রথম কাজ আজমেরী হক বাঁধনের। তিনি বলেন, ‘কাজটা আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে। কতটা চ্যালেঞ্জিং সেটা আসলে দর্শক দেখলেই বুঝতে পারবে। আমি আসলে খুব খুশি আর কৃতজ্ঞ যে চরকি নারী চরিত্র প্রধান কাজ প্রডিউস করেছে।’
‘গুটি’-র গল্প কেমন জানতে চাইলে বাঁধন বলেন, ‘গল্পটা শঙ্খ খুব দুর্দান্তভাবে সাজিয়েছেন। তিনি খুবই ব্রিলিয়ান্ট একজন নির্মাতা। একদম ভিন্ন প্লট, ভিন্ন চরিত্র, ভিন্ন ধরনের একটা গল্প তিনি ফুটায় তুলতে চেয়েছেন। এখানে আমি সুলতানা নামে একজন ড্রাগ ডিলারের চরিত্রে কাজ করেছি। চরিত্রটা নিয়ে শঙ্খর সাথে আমার দীর্ঘদিন ধরে আলাপ চলেছে। আমি এই চরিত্রটা অনেকদিন ধরে নিজের মধ্যে ধারণ করছি।
‘ইভেন একদম প্রথমে আমার যে লুক টেস্ট হয়েছিল সেটার কস্টিউম পুরা আমি করেছিলাম। কি ওড়না পরবো, কি রঙের কাপড় পরবো, কোনটা পরলে একদম ওই ক্যারেক্টারের মতো লাগবে এইগুলা নিয়ে পরিচালকের সাথে আমার ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।’
বাঁধন বলেন, ‘সিরিজে কাস্টিং কিন্তু খুব ইন্টারেস্টিং। আমরা সবাই নিয়মিত একসাথে বসে রিহাসসেল করছি। রিহাসসেলটা প্রপার হলে শ্যুটিংয়ে গিয়ে সবার অনেক কষ্ট কমে যায়।’
দর্শকদের উদ্দেশ্যে বাঁধন বলেন, ‘বাংলাদেশে ফিমেল লিডের কাজ চলে না, এই কথাটা আসলে শুনতে চাই না। কারণ এই কথাটা আমি যখন শুনেছি তখন প্রচন্ড হার্ট হয়েছি। তবে আমি বিশ্বাস করি আগামী ১-২ বছরের মধ্যে এই ধারণার পরিবর্তন হবে। আমরা আমাদের কাজ দিয়েই এই চিন্তার পরিবর্তন করতে পারবো। দর্শককেও নতুন কিছু দিতে পারবো।’
শুটিং-এ যাওয়ার আগে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কীভাবে পুরো দলকে নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছেন পরিচালক এ বিষয়ে শঙ্খ দাসগুপ্ত বলেন, ‘চরকির সাথে এটাই আমার প্রথম কাজ। কাজটার জন্য খুব উন্মুখ হয়ে আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের স্ক্রিপ্টের ৭ নম্বর ড্রাফট হয়েছে। এখন কাস্টিংদের নিয়ে প্রতিদিন রিডিং রিহাসসেল হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ ঢাকার বিভিন্ন রিয়েল লোকেশনে আমাদের সব শ্যুটিং চলবে। আর আমরা যে যে অঞ্চলগুলোতে শ্যুট করবো সেখানকার লোকাল আর্টিস্টদের কাস্ট করা হয়েছে। রিজিওনাল জায়গা থেকেও যেনো এর একটা আলাদা এক্সেপ্টেন্স তৈরি হয় সেটাও আমরা খেয়াল রাখছি। এখন টেকনিক্যালি কাজটাকে কতটা ডিভাইস করা যায় সেইদিকেই আমাদের সবার খেয়াল।’
সারাবাংলা/এজেডএস